স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে পারফরম্যান্সে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। মারকুটে ফিফটির ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১১৭ রানে। জবাবে ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১১৯ রান করে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ রান। ১৪ বলে ১৯ রান করে ক্রেইগ ইয়ংয়ের শিকার হন সাইফ হাসান। ৬ বলে ৭ করে হ্যারি টেক্টরের বলে আউট হন অধিনায়ক লিটন। এরপর আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নোঙর করায়। ৩৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ২৬ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান করেন ইমন।
ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আয়ারল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টর। ৪ ওভারে ৩৮ রান তোলে আইরিশরা। রানে ছেদ ফেলেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসারের ডেলিভারিতে বোল্ড হন টেক্টর, তার ব্যাট থেকে ১০ বলে আসে ১৭ রান। ওয়ানডাউনে নামা হ্যারি টেক্টরকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৬ বলে ৫ রান তুলে বিদায় নেন হ্যারি।
৫০ রানে আয়ারল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। ১ রান করা লোরকান টাকারকে ফেলেন লেগবিফোরের ফাঁদে। ৫১ রানে ঘটে তৃতীয় উইকেটের পতন।
এরপর আর সেভাবে কোনো আইরিশ ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। রিশাদ হোসেনের বলে সাইফ হাসানের ক্যাচে পরিণত হওয়া আইরিশ দলপতি স্টার্লিংয়ের ২৭ বলে ৩৮ রানই সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে জর্জ ডকরেলের ব্যাট থেকে। ডকরেল পরিণত হন শরিফুলের শিকারে।
টাইগারদের পক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে ২১ রান খরচায় সমান উইকেট তুলে নেন রিশাদও। এছাড়া শরিফুল ২টি, আর শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
এ ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ধরে বিশ্বরেকর্ডে ভাগ বসান তানজিদ তামিম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে এর আগে সর্বোচ্চ পাঁচটি করে ক্যাচ ধরার রেকর্ড রয়েছে সুইডেনের সেদিক শাহাক ও মালদ্বীপের ওয়েদেজ মালিন্দার। পূর্ণ সদস্য দেশের মধ্যে অবশ্য বাংলাদেশি ফিল্ডারই প্রথম এ কীর্তি গড়লেন।
এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৯ রানের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৪ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিকরা।


