অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: দেশে ভোক্তা পর্যায়ে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা করে বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটার ডিজেল ১০২ টাকা থেকে ১০৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা, পেট্রোল ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা থেকে ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে মূল্য ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলা অনুযায়ী নতুন এই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ সাদেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশোধিত প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ডিসেম্বর মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করার নিমিত্তে ডিজেলের বিক্রয় মূল্য প্রতি লিটার ১০২ টাকা থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ১০৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৪ টাকা, পেট্রোলের মূল্য ১১৮ টাকা থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ১২০ টাকা এবং কেরোসিনের মূল্য ১১৪ টাকা থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি করে ১১৬ টাকা পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয় করা হয়েছে। যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস তেলের দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব বিইআরসির কাছে জমা আছে। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।


