ঢাকায় প্রোডাকটিভিটি ও কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Posted on November 15, 2025

কর্পোরেট ডেস্ক: ঢাকার টঙ্গীতে অবস্থিত জেটিআই কারখানায় সম্প্রতি ‘প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট: এমফ্যাসিস অন ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি উইক’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিউএ হারবার লিমিটেড এবং কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল সাবস্ক্রিপশনপ্রো, কর্নকিউ, এক্সওআর গীক এবং নিম্ফ সলিউশন্স।

বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩০ জন কর্পোরেট পেশাজীবী কর্মশালায় অংশ নেন। ‘কাইজেন’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন মি. মাসুদুর রাহমান। ‘৫এস’ বিষয়ে সেশন নেন মি. ওকাবায়াশি কুনিয়াকি। আর দিনশেষে ‘ইসসো ইচিমোকু’ যার অর্থ ‘ওয়ান স্টেপ, ওয়ান লুক’ এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন মিসেস তোমোকো ইয়াসুদা, মিস সায়াকা ওজাওয়া এবং মিস নিশিমুরা নানাকো।

দিনটির প্রধান আকর্ষণ ছিল জেটিআই টঙ্গী কারখানায় হাতে-কলমে শেখার অভিজ্ঞতা। অংশগ্রহণকারীরা কাইজেন ও ৫এস নীতিগুলো প্রতিদিনের কর্মকান্ডে কিভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয় সে বিষয়ে বাস্তব ধারনা নেন। কারখানার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে তারা বুঝতে পারেন কিভাবে সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া, মানসম্মত অভ্যাস এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের সংস্কৃতি একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

কর্মশালায় অংশ নিয়ে আর অ্যান্ড জি কনসালটিং এর সিইও, বেপজা’র সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়’ এর সাবেক লেকচারার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. মফিজুর রহমান (অব.) বলেন, “কাইজেন, ৫এস এবং ইসসো ইচিমোকু, এই তিনটি দর্শনের সাথে পুনরায় পরিচিত হওয়া ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ধারাবাহিক উন্নয়ন করতে চায় এমন সব প্রতিষ্ঠানের জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেটিআই কারখানায় এগুলোর বাস্তব প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গ্রহণের সক্ষমতার ওপর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে।”

শামস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিরেক্টর সামিমা বিনতে শামস কর্মশালার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, “কাইজেন ও ৫এস দৈনন্দিন কার্যক্রমে প্রয়োগ করতে পারলে একটি প্রতিষ্ঠান আরও সুশৃঙ্খল ও টেকসই হয়ে উঠবে। এই কর্মশালা, বিশেষ করে কারখানা পরিদর্শন, আমাদের এমন মানসিকতা তৈরি করেছে যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।”

কর্মশালাটি বাংলাদেশে উৎপাদনশীলতা-কেন্দ্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠার প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করেছে। শিল্পোন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষের ধারাবাহিক যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।