সিংগাইরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে দলীয় প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি

Posted on November 12, 2025

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিংগাইরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তকে বাদ দিয়ে ত্যাগী নেতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর রহমান খান রোমানকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে’ বক্তারা এ দাবি তোলেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, সদ্য ঘোষিত দলীয় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত গত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন না।

অন্যদিকে, আবিদুর রহমান খান রোমান দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। তাদের ভাষায়, “ধানের শীষ প্রতীকের প্রকৃত দাবিদার ও যোগ্য প্রার্থী রোমানই।”

এর আগে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা বটতলায় সমবেত হন। সেখান থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়, যা পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর রহমান খান রোমান, এবং সঞ্চালনা করেন সহ-সভাপতি শেখ মো. আসাদ উল্লাহ খান আজাদ।

এ সময় বক্তব্য দেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম খান বাদল, শেখ আব্দুস সোবহান, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাছান আলী, যুবদল সদস্য সারোয়ার হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল হক, সহ-সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, এবং চান্দহর ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় আবিদুর রহমান খান রোমান ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঘোষিত “লকডাউন” কর্মসূচি প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান মিঠু এবং পৌর বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয়ের নেতৃত্বাধীন পৃথক কর্মসূচিতেও একই দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ৭ নভেম্বর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নেতৃত্বে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়, যেখানে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

বর্তমানে উপজেলা বিএনপি তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করছে। এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি বিরাজ করছে।