বিনোদন ডেস্ক : দেশের জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। ঢাকাই চলচিত্রের অনেক সুপার হিট গানের স্রষ্টা তিনি। তবে নতুন খবর হলো তিনি আর সিনেমার গান করবেন না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বড় বাজেটের চলচ্চিত্র থেকেও একের পর এক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এই সুরকার-গীতিকার। এমনকি এমন প্রস্তাবও এসেছে, যেগুলো অনেকের জন্য স্বপ্নের মতো। অথচ তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, “অনেকগুলো সিনেমার কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। এমনও একজনকে না বলেছি, যাকে সাধারণত কেউ ফিরায় না। এমন একজন আছেন, যার সঙ্গে দেখা করতেও মানুষ অপেক্ষা করে থাকে—ফোন পাওয়াটা তো আরো দুরূহ। কিন্তু আমি যাইনি।”
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, সিনেমার গানে গীতিকার বা সুরকারের অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। গান হয়ে দাঁড়ায় নায়ক কিংবা পরিচালকের সম্পত্তি। শিল্পী বা সুরকারের নাম সেভাবে সামনে আসে না।
“অনেক প্রত্যাশা নিয়ে শ্রম আর মেধা খরচ করে গান করি। কিন্তু সিনেমায় সেটা হয়ে যায় নায়ক বা পরিচালকের গান। আমার নিজের পরিচয়টা থাকে না। এটা আমি যৌক্তিক মনে করি না। তাছাড়া সিনেমার গানে নিজের মতো করে কাজ করার স্বাধীনতাও থাকে না। তাই আর সিনেমার গান করব না,”-বলেন প্রিন্স মাহমুদ।
সিনেমা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা বললেও প্রিন্স মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি থাকবেন শুধু অডিও গানের জগতে। সেখানে তিনি নিজের সৃষ্টিশীলতা ও মনের কথা গানের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাই এই আঙিনায়ই থেকে যাবেন আমৃত্যু।
তিনি লেখেন, আমি কেবল অডিও গানের মাঝেই থাকব। যেখানে থাকবে ‘মা’, ‘এত কষ্ট কেন ভালবাসায়’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ (আমার সোনার বাংলা)’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’, ‘তুমি বরুণা হলে মাটি হব মাটি’, ‘কেন কর কান্না কাটি’, তাহসানের ‘আমার ছিপ নৌকোয় এসো’, তপুর ‘সোনার মেয়ে’, তুহিনের ‘আলো’ বা মিনারের ‘একাকিত্বের কোনো মানে নেই’-এর মতো গান।


