নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) কেরানীগঞ্জে ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্র তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮০ হাজার সেনাবাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে৷ এ ছাড়া নৌবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় পুলিশ সদস্যদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে। ভোট যেন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হয় সেজন্য সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে। এ সময়, রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে অনেকের নামে জুলাই-আগস্টের মামলা হয়েছে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গত জুলাইয়ের থেকে এই জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। থানায় কেউ আসতো না। আনসার বাহিনী বিদ্রোহ করছিলো, অন্যান্য বাহিনীগুলোও অতোটা সক্রিয় ছিলো না। এখনও হয়তো আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারিনি। তবে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনও সমস্যা নেই। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিলো এমন খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁদাবাজ যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যত বড় নেতাই হোক তাকে ধরা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি৷ যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, র্যাব ১০ অফিস ও কেরানীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন।


