আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত জুন মাসে ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ জানিয়েছে তদন্ত ব্যুরো। বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকে তথ্য খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা। তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে বিমানটির জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ব্ল্যাকবক্সে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তারা বলেছেন, বিমানের জ্বালানি সরবরাহের যে দুটি সুইচ আছে দুটিই এক সেকেন্ডের কম সময়ের ব্যবধানে চালু (রান) থেকে বন্ধ (কাট অফ) হয়ে যায়। ওই সময় বিমানটির গতি ১৮০ নটে পৌঁছেছিল।
ব্ল্যাকবক্স থেকে উদ্ধার হওয়া অডিও থেকে জানা গেছে, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কেন জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করেছেন। তখন অপর পাইলট জানান সুইচ বন্ধ করেননি। এরপর সুইচগুলো আবারও চালু করা হয়। ওই সময় ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া শুরু করে। কিন্তু এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর আগে ইঞ্জিন সচল রাখার জরুরি ব্যবস্থাও চালু করা হয়।
বোয়িং ৭৮৭ এ জ্বালানি সরবরাহের সুইচটি কাটঅফ নামে পরিচিত। এটি দুই পাইলটের আসনের মাঝে এবং থ্রোটল লেভারের নিচে থাকে। এগুলো একটি ধাতব দণ্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে এবং ভুলক্রমে যেন বন্ধ না হয়ে যায় তাই সেখানে লকিং সিস্টেম রাখা আছে।
তদন্তকারীরা প্রমাণ পেয়েছেন, বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ছিল না এবং এতে যে জ্বালানি ছিল সেটির কোয়ালিটিও ভালো ছিল। সূত্র-সিএনএন।
গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আকাশে ওড়ার মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ সরে যাওয়ায় দুটি ইঞ্জিনই শক্তি হারিয়ে ফেলে বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২৬০ জন নিহত হন।


