কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার মেরিন ড্রাইভ রোডে হিমছড়ি থেকে রেজুখাল পর্যন্ত ‘ক্যাবল কার’ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৬তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে।
৮ কিলোমিটার ব্যপ্তির এই প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে পরামর্শক ফি ও প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ২৪.৬০ কোটি টাকা, রোপওয়ে এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্র বাবদ ৪৫৫ কোটি টাকা, পূর্ত কাজ যেমন- ৩টি স্টেশন, মসজিদ, পার্কিং ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন ইত্যাদি বাবদ ২৩৯ কোটি টাকা এবং জমি অধিগ্রহণ/ক্রয় বাবদ ১৯.৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৭ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্য চুক্তির মেয়াদ ২৫ বছর এবং প্রকল্পের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক জীবনকাল ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় পর্যটন শিল্পের বিকাশকে ত্বরান্বিতকরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পিপিপি পদ্ধতিতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে হিমছড়ি থেকে রেজু খাল ব্রিজ পর্যন্ত মোট ৮ কি.মি. পর্যন্ত ক্যাবল কার স্থাপনের উদ্দেশ্যে আলোচ্য প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়।
প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ২৬ মে ২০২৪ তারিখে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় একটি ৮ হাজার ‘মনো-ক্যাবল ডিটাচেবল গোনডলা(এমডিজি) ক্যাবল কার সিস্টেম নির্মাণ করা হবে। এ সিস্টেমে হিমছড়ি থেকে রেজু খাল ব্রিজ পর্যন্ত মনোরম রুটে ৩৫টি টাওয়ার (সর্বোচ্চ ২৫০ মিটার ব্যবধান) থাকবে এবং ৭০টি আট-সিটার কেবিন এর মাধ্যমে ক্যাবল কার পরিচালিত হবে। সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, বন এবং মেরিন ড্রাইভ রোড বরাবর উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন ভূখণ্ড দিয়ে এ ক্যাবল কার অতিক্রম করবে। এ রুটে ৩ টি স্টেশন থাকবে এবং সেখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন বিনোদনমূলক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
এছাড়া সভায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ৬৮ (১) ধারার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অথবা অন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে টিসিবি কর্তৃক পণ্য আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের সময়সীমা আরও দুই বছর ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সময় বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়।
অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সভায় টিসিবির আওতায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা – ৮৩ (১) (ক) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি এবং বিধি-৬১(৫) অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ওটিএম পদ্ধতি অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট বিধির তফশিলে উল্লিখিত সময়সীমা (পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে দরপত্র প্রণয়ন ও জমা দেওয়ার সময়) বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।


