কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিবেদন পেশ করে এই কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কমিশনের খসড়া সুপারিশে ব্যতিক্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাবনা উঠে এসেছে। যার মধ্যে আছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, জিপি-রেফার্ড সিস্টেম চালু প্রভৃতি। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ওষুধের কথা জানাতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করা বন্ধে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম লিখতে হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে চিকিৎসাসেবার মান বাড়ানো, চিকিৎসক-রোগী আস্থার সংকট দূর করা, সেবাকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তোলা এবং হাসপাতালগুলোকে নিরাপদ ও মানবিক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা ও সুপারিশ তৈরি করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে গঠিত কমিশন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন- জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদফতরের অধ্যাপক ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ডিএমসি) শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।


