ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আলোচিত দর্জি সুবীর চক্রবর্তী (৩৭) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৩ মে) ভোর ৬টার দিকে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি-সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ফকিরখীল গ্রামের বাসিন্দা মৃত অরুন দাসের ছেলে দীপক দাস (৫২), দীপক দাসের দুই ছেলে দীপ্ত দাস (২৪) ও সুমিত দাস (১৯)কে গ্রেফতার করে।
শনিবার (৩ মে) রাতে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
র্যাব-১৪ জানায়, দর্জি সুবীর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব-৭। এক পর্যায়ে র্যাব-৭ এর একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ আসামি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা এলাকায় অবস্থান করছে। পরে বিষয়টি র্যাব-১৪ কে জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে।। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১৪ জানায়, দর্জি সুবীর চক্রবর্তীর পরিবারের সঙ্গে দীপক দাসসহ তার পরিবারের দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় প্রায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবীর চক্রবর্তীর পরিবারের কয়েকজন আহত হন। পরে তারা একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নামজুল ইসলাম বলেন, হত্যার পরপরই দীপক দাসসহ তার দুই ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল তারা। শনিবার তাদের অবস্থান জানতে পেরে ভালুকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


