নিজস্ব প্রতিনিধি : বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে ১৯ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের মাথাভাঙা (কালীনগর) চকে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ( ৬ মার্চ) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে কাওছার ও পার্শ্ববর্তী বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামের হোসেনের ছেলে হৃদয়কে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ভিকটিম জানায়, প্রেমের সূত্র ধরে গত রোববার (২ মার্চ) সন্ধ্যার পর কাওছার আমাকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে রাস্তায় ডেকে নেয়। তারপর কাওছার ও তার বন্ধু হৃদয় আমাকে মাথাভাঙা চকে কাঠবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে দু’জন মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সুযোগ বুঝে চিৎকার করে দৌড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকেও আমাকে টেঁনেহিচড়ে নিয়ে যায়। পরে কাছাকাছি অবস্থান করা ওদের লোকজন সিয়াম, মাহফুজ ও আকাশ রাত তিনটার দিকে গাড়াদিয়া মানিক মিয়ার বাড়ির সামনে এনে দিয়ে চলে যায়। এ সময় ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্নলংকারসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল কাওছার নিয়ে যায় বলেও ভিকটিম অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই রিয়াজুল করিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনি ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।
এ ব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা এজাহার অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে একজন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, অপরজন সহযোগীতায় ছিল। তবে ভিকটিম যদি আদালতে ২২ ধারায় দুই জনের কথা বলে সেক্ষেত্রে ধারা সংযুক্ত করা হবে।