মোঃ সোহাগ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়াী ওরফে ভাঙ্গারি মনিরের অত্যাচারে বর্তমানে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দেউলী এলাকার লোকজন। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে তার চাঁদাবাজি, চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তর এইসব কর্মকান্ড থেকে পরিত্রানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের লিখিত অভিযোগ করেন দেউলী এলাকার বাসিন্দারা।
মনির উপজেলার বৈদ্যপাশা গ্রামের আব্দুল গণি খানের ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, মনির দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় মাদক সরবারহ করে, যুবকদের বিপদগামী করে আসছে। এছাড়া তিনি ডাকাতি ও চুরির মালামাল কারবার করে অহেতুক মানুষের নামে মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। এমনকি কথায় কথায় স্থানীয় মা বোনদের শ্লীলতাহানী করে থাকে। মনির ও তার সহযোগীরা মিলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। আর এসব কর্মকান্ড দেউলি বাজারে তার ভাঙ্গারি দোকানে বসে পরিচালনা করে থাকেন। আর তার এইসব অপকর্মে সহায়তা করছে মোঃ মাহাবুব খান ও দুলাল নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি।
অভিযোগে আরও জানা যায়, এই মনিরের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, তাদের অবিচার ও অত্যাচারের মাত্রা দিনে বেড়েই চলেছে। আমরা এখন তাদের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। সবাই তাদের নিয়ে আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতি থাকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।
অভিযুক্ত মনির বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। মল্লিকদের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছে।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


