এন জি চক্রবর্তী
দ্বিতীয় ভাগ।
ছত্রিশ অধ্যায়।
সারমর্ম।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৪৮তম অংশ
১৪. লেজারের কোন একটি নির্দিষ্ট পাতার একটি নির্দিষ্ট হিসাবে এন্ট্রি দেয়ার জন্য যতটুকু জায়গা খালি থাকে তা শেষ হয়ে বা ভরে যাওয়ার পরেও যদি কোন এন্ট্রি দেয়ার দরকার হয় তবে নিচেরটির মত করুন: আগে হিসাবটির ডেবিট ক্রেডিট যাইই হোক না কেন তার সর্বশেষ ব্যালান্সটি হিসাব করে বের করুন। আর ঐ ব্যালান্সটি তারপর লেজারের নুতন পাতায় ট্রান্সফার করুন। ধরুন,
১৫. যখন বর্তমান লেজারটির পাতা লিখতে লিখতে ভরে যাবে তখন নুতন লেজার খোলা দরকার। আর যদি আপনি পুরানো লেজারের ব্যালান্সগুলো নুতন লেজারে স্থানান্তরিত করতে চান, তাহলে নিচের দেয়া পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন: প্রথমেই দেখুন আপনার পুরানো লেজার বইটিকে ধরুন ’এ’ বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা। আর যেহেতু বর্ণমালার পর্যায়ক্রমিক বর্ণ দিয়ে লেজার বই চিহ্নিত করা যায় তাই তখন নুতন লেজার বইটিতে ’বি’ চিহ্ন দিন।
পুরানো লেজার ব্যালান্স থেকে একটা ট্রায়াল ব্যালান্স তৈরী করুন। আর দেখুন এর আগে যেভাবে বলেছি সেভাবে এটা মিলে যায় কিনা। এরপর পুরানো লেজার থেকে ক্রমান্বয়ে সমস্ত লেজার ব্যালান্স নুতন লেজারে স্থানান্তর করুন। নুতন লেজারে পুরানো ব্যালান্স তোলার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে নুতন লেজারের দুটি হিসাবের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁক থাকে।
১৬. যখন নুতন লেজারে ব্যালান্স ট্রান্সফার করছেন তখন পুরানো লেজারে নুতন লেজারের পাতা নম্বর উল্লেখ করুন।
১৭. পুরানো লেজার বইটি ক্যানসেল করার আগে নিশ্চিত হোন যে, ওটি থেকে ট্রায়াাল ব্যালান্স তৈরী করে লেজারের প্রতিটি হিসাব ক্লোজ করা হয়েছে। এভাবে পুরানো বইএর যে সমস্ত হিসাবে ক্রেডিট ব্যালান্স রয়েছে সেগুলোকে ওই বইএর ডেবিটের দিকে লিখে হিসাবটি ক্লোজ করুন ও ব্যালান্সশীটে স্থানান্তর করুন এবং নুতন ’বি’ বইতে ক্যারি ফরোয়ার্ড করুন। এভাবেই পুরানো বই ক্লোজ করে নুতন বই শুরু করতে হয়। আর লেজারে যে যে হিসাবে ডেবিট ব্যালান্স রয়েছে সেগুলোকেও একইভাবে ক্লোজ করে নুতন লেজারে ট্রান্সফার করুন। এবারে ডেবিট ব্যালান্সগুলো নুতন বইতে ক্যারি ফরোয়ার্ড করে ক্রেডিট করুন।
নটে গাছটি মুড়োলো