নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এনিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ১ জানুয়ারি বই উৎসব করলেও সবার হাতে যেত তিন থেকে চার মাস পর। এবার আগামী মাসের মধ্যে সবার হাতে বই পৌঁছে যাবে।
প্রেস সচিব বলেন, আগামী বছর থেকে জানুয়ারির ১ তারিখেই সবার হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দ্রুত দূর করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ঢাকার যানজট নিরসনেও আজ কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’
এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী সপ্তাহে সরকার সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করবে। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রক্লেমেশনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবার অবদান স্বীকার করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে একটু দেরি হবে হয়তো, তবে খুব বেশি দেরি নয়।’
এখন থেকে কোনো গানের আসর কিংবা কোনো মাজারে হামলা হলে সরকার ছাড় দেবে না। যারা ভিকটিম তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন মাহফুজ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা হয়নি।অন্যবারের মতো শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ও হয়নি। সব শিক্ষার্থীও সব বই পায়নি। যারা পেয়েছে তারাও বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেয়েছে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও বছরের শেষ দিন পর্যন্ত ছাপা হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পাঠানোও সম্ভব হয়নি।