নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের (দুর্বল সংযোগ) কারণে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতার প্রমাণ মেলেনি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, এ ঘটনা কোন নথি পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। পাশাপাশি ভাঙতে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও।
এ সময় তদন্ত কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’
ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেইট থাকায় তা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ১টা ৫৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি ইউনিট কাজ করলেও, পরে আরও ১০টি ইউনিট যুক্ত করা হয়।
এক পর্যায়ে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো সচিবালয় এলাকা। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, ২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) সদস্য ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা নিয়োগ করা হয়। তারা ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেন।