কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে বাসাবাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাসা-বাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান এ রিট দায়ের করেন।
রিটে জনসমাগম ও আতশবাজি ঠেকাতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান বলেন, রিটে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই দিন আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
এ ছাড়া ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে ফানুস উড়ানো, আতশবাজি, পটকা, উচ্চশব্দ রোধে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী এসব কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনে এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। পুনরায় অপরাধ করলে ছয় মাসের জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোতে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এ কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকতে সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়।