কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর আজিমপুরে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
র্যাব জানিয়েছে, অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অপহরণকারীকে গ্রেফতার এবং শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী ডাকাতির ঘটনায় ৩ জনের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করা গেলেও ডাকাতির কোনো মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, রাজধানীর আজিমপুরে ডাকাতির পর শিশু অপহরণের ঘটনায় ৫ জন জড়িত। মুক্তিপণের জন্যই ডাকাতির সঙ্গে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় ওই নারী নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। অপহরণের ১ সপ্তাহ আগে শিশু জাইফার মায়ের সঙ্গে অফিসে যাতায়াত করার সময় গ্রেফতারকৃত শাপলার পরিচয় হয়। এ সূত্র ধরে শিশু জাইফার মায়ের কাছে সাবলেট ভাড়া নেন শাপলা। বাচ্চাটিকে অপহরণ করে এর মাধ্যমে টাকা নেয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল তার।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় ঢুকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। শুধু মালামাল নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তারা; নিয়ে যায় সেই বাসার ৮ মাসের শিশু জাইফাকেও।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
জানা যায়, সাবলেট নেয়ার কথা বলে ওই বাসায় ঢোকেন এক নারী। পরে আরও দুজন পুরুষ আসেন। তারা একপর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পাশাপাশি ফারজানার একমাত্র ৮ মাসের শিশ কন্যা জাইফাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জসীমউদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, ডাকাতি করতে এসে দুর্বৃত্তরা একটি বাচ্চাকেও নিয়ে গেছে। শিশুটির মা সরকারি চাকরি করেন, তারা আজিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। এ বিষয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।