নিজস্ব প্রতিবেদক : গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত তিন মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে, তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অবশ্যই তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) অনেকগুলো কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের আমরা যদি সবাই সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত সময়ে একটা যৌক্তিক নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো মোকাবিলা সম্ভব হবে।’
দলটির মহসচিব বলেন, বিএনপি সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা নির্যাতন-নিপীড়ন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয় তৃতীয় বারের মতো
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই দিনে সিপাহী-জনতা দ্বিতীয় বারের মতো আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের পরাজিত করে ৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে আসে। এরপর বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সূচনা হয়, সেটি হলো জাতীয়তাবাদ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমতে তৃতীয়বারের মতো এই আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়। আজ ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, আমরা শপথ নিয়েছি। ছাত্র জনতাকে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব।
ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৬০০ মানুষকে গুম করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।