অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের নামে মামলা

Posted on November 6, 2024

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের নামে মামলা করলেন প্রযোজক ও নায়িকা সিমি ইসলাম কলি। গত ২৪ আগস্ট রাজধানী ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেছেন কলি। মামলা নম্বর ১১৩৬/২০২৪। মামলায় অপু বিশ্বাস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম এবং জাহিদুল ইসলাম আপনকে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মামলার ব্যাপারে সিমি বলেন, আমার ইউটিউব চ্যানেল অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন হ্যাক করেছেন। বিষয়টি অনেক আগেই পুলিশকে অবগত করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। আবার প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্যও চেষ্টা করেছি। তাতে কোনো সমাধান না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই আদালতে গিয়েছি আমি।

ঢালিউড ক্যুইন খ্যাত নায়িকা অপু বিশ্বাসের চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন জাহিদুল ইসলাম। মামলায় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তাকে নিয়ে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম সিমির ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেন। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অপু বিশ্বাস আশ্বাস দিলেও তা বুঝিয়ে দেননি। এ কারণে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি লালবাগ থানায় জিডি করেছিলেন সিমি।

এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন সোশ্যাল মিডিয়ার বরাতে আলোচনায় উঠে আসা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।এরপর দর কষাকষির মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি। টাকা পাওয়ার পর চ্যানেলও ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু চ্যানেলে থাকা পুরনো ভিওিগুলো মুছে ফেলা হয়েছে দেখা যায়। যা অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান প্রযোজক সিমি।

তাকে পুরনো ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও কালক্ষেপণ করতে থাকেন। যা ক্রমেই দীর্ঘ হতে থাকে। এ নিয়ে ফের চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতে কথা বলেন বিবাদী। কিন্তু সেখানে কোনো সমাধান না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিমি।

মামলা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সিমি ইসলাম বলেন, ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুদিন অপুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সে-ও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু তার কথাও সে রাখেনি।

তিনি আরও বলেন, একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, আমি রাজি হলে অপুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর কোনো খবর নেই।