বেইরুতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫

Posted on October 3, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের রাজধানী বেইরুতের কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮ জন। স্থানীয় কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।

যে ভবনটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে সেটি বাচৌরাতে অবস্থিত। বহুতল ওই ভবনটি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। সেখানে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আসা-যাওয়া ছিল। এই ভবনে আক্রমণের বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে যে, তারা ‌‌‘নির্ভুল’ হামলা চালিয়েছে।

বৈরুতের কেন্দ্রে বিশেষ করে লেবাননের সংসদের এত কাছাকাছি ইসরায়েলি হামলা এবারই প্রথম। যেখানে হামলা হয়েছে ঘটনাস্থলটি সংসদ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে অবস্থিত।

এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল যে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের ৮ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। ওই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই লেবাননে এই হামলার খবর এলো। তবে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পর এটিই ছিল ইসরায়েলের প্রথম ক্ষতির ঘটনা।

এই প্রথম বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালালো ইসরায়েল। তারা এর আগে মূলত দক্ষিণ বৈরুতে আক্রমণ করছিল। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যুদ্ধের সময় তারা ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি ধ্বংস করেছে। তারা জোর দিয়ে এও বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনীকে পরাস্ত করার জন্য তাদের যথেষ্ট জনবল ও গোলাবারুদ রয়েছে।

এর আগে আইডিএফ ঘোষণা করেছিল যে লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে থাকা ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও পদাতিক ও সাঁজোয়া সৈন্য জড়ো করা হয়েছে।

লেবাননে গতরাতে সর্বশেষ হামলার সময় বৈরুতের হাহিয়েহ অঞ্চলে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। চতুর্থ শব্দটি শোনা গেছে একদম শহরের মধ্যাঞ্চল থেকে।

আইডিএফ হাহিয়েহতে বসবাসকারীদের সতর্ক করার পর সেখানে আরও দুইটি বিমান হামলা হয়েছে। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

রাতের বিমান হামলার আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো যে, বেসামরিক ও সামরিক মানুষ মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৬ জন নিহত এবং আরও ৮৫ জন আহত হয়েছে। লেবাননে সর্বশেষ বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে এক মার্কিন নাগরিকও ছিলেন।

দ্য ডেট্রয়েট নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ওই নাগরিকের নাম কামেল আহমেদ জাওয়াদ। তার বয়স ছিল ৫৬ বছর। তিনি তার বৃদ্ধা মায়ের খেয়াল রাখার জন্য সেদেশে এসেছিলেন।

হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, লেবাননের অনেক বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর মতো তার মৃত্যুও একটি দুঃখজনক ঘটনা।