আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর, ২০২৪) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর অডিটরিয়ামে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন- ব্রোকার-ডিলারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মাচের্ন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মাচের্ন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড (এএএমসিএমএফ), অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (এসিআরএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর প্রতিনিধিগণ। তারা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার সংস্কারে তাদের গুরুত্ত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
এর আগে উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিন্তু বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী আইসিএবিকে আমন্ত্রণ জানালেও ভুল বা অজ্ঞতাবশত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ও ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর কোন প্রতিনিধিকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য কোন আমন্ত্রণ জানান নি। তাহলে কি আইসিএসবি ও আইসিএমএবি পুঁজিবাজার সংক্রান্ত কোন স্টেকহোল্ডার নয়? নাকি তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশের ৩টি কর্পোরেট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট সিএ, সিএমএ ও সিএস বা দি ইনষ্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ও ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ওৎপ্রোতভাবে বিএসইসির সাথে তাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।
অথচ আপনি বিএসইসির একজন পরিচালক ও মুখপাত্র আইসিএবিকে ডাকলেও উক্ত অনুষ্ঠানে আইসিএসবি ও আইসিএমএবিকে ডাকেন নি। কারণ কি? ডাকতে ভুলে গেছেন নাকি তারা বিএসইসি তথা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ঠ কেউ না।
সভায় আমন্ত্রণ না জানালেও আইসিএমএবির অনেক কাউন্সিল সদস্যকে বিএসইসির মত বিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে পুঁজিবাজার সংস্কারে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু আইসিএসবির পক্ষ থেকে কোন কাউন্সিল সদস্যকে উক্ত সভায় দেখা যায়নি। বিষয়টি চার্টার্ড সেক্রেটারি প্রফেনালদের জন্য খুবই দৃষ্টিকটু হয়েছে। যদিও ত্রিপল এ ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক মো: ওবাইদুর রহমান এফসিএস এবং কর্পোরেট সংবাদ এর সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান এফসিএস উক্ত সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইসিএসবির ২১টি পেশাদার সিএস প্র্যাক্টিসিং ফার্ম বিএসইসির নির্দেশিত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিজি অডিট এবং এজিএম ও ইজিএমে ইনডিপেনডেন্ট স্ক্রুটিনাইজার হিসাবে ৩ শতাধিক কোম্পানিতে কাজ করছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুঁজিবাজার উন্নয়নে তারা ভূমিকা রেখে চলেছেন। এছাড়াও ৪ শতাধিক লিস্টেড কোম্পানিতে আইসিএসবির এসিএস ও এফসিএস সদস্যরা কোম্পানি সেক্রেটারি হিসাবে কাজ করছেন এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ও সংস্কারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন। অথচ বৈষম্যহীন সরকারের সময় আইসিএসবি বিএসইসির বর্তমান কমিশনের বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখিন হচ্ছে। আইসিএসবির কাউন্সিল কর্তৃক বিএসইসির বর্তমান কমিশনের সাথে সময়হীন্যতার অভাবে চার্টার্ড সেক্রেটারি প্রফেশনের সদস্যদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছেন।
আইসিএসবি থেকে যদি একজন কাউন্সিলরকে বিএসইসির সাথে সমন্বয়ক হিসাবে সংযুক্ত করে রাখা হতো তাহলে আজকে পুঁজিবাজার সংস্কারে আইসিএসবির পক্ষ থেকে ভূমিকা না রাখার এমন সমন্বয়হীনতা ও বৈষম্যমূলক আচরণ বিএসইসির পক্ষ থেকে হতো না। যার দায়ভার আইসিএসবির বর্তমান কাউন্সিল ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না।
অতএব আইসিএসবির কাউন্সিল সদস্যদের ঘুম থেকে জেগে উঠা দরকার। না হলে ভবিষৎতে অনেক পশ্চতাতে হবে। ঠিক কিনা, চার্টার্ড সেক্রেটারিদের মতামক কি?