মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী নারী।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে প্রধান করে অজ্ঞাত ৪জনকে আসামি করে এজাহার দেন ভুক্তভোগী নারাী রিয়া মণি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ।
অভিযুক্ত যুবককে বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায় বলে জানান ডিবি।
এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ।
তিনি জানান, সৈকতে এক নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতে ওই নারীকে কান ধরে ওঠবস-মারধর করার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, একদল অতিউৎসাহী জনতা সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভুক্তভোগী নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে। হাতে লাঠি নিয়ে নারীকে আঘাত করছে ডিবি হেফাজতে থাকা ফারুকুল। কান ধরে ওঠবস করতে দেরি হলেই সে লাঠি দিয়ে আঘাত করছে ওই নারীকে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতা নারীর কান ধরে ওঠবসের গণনাও করেছিল।
ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে সমুদ্র সৈকতের ছাতাযুক্ত চেয়ারে (কিটকট) বসেছিলেন এক নারী। কয়েক যুবক ওই নারীকে হঠাৎ করে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে নারীর পরিচয় জানতে চায়। নারী পরিচয় দিলেও ওই যুবকেরা তাকে কিটকট থেকে উঠে যেতে বলে। উঠে না গেলে তাকে মারধরের হুমকিও দেয় তারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে কক্সবাজারে আশা কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে বিচ-কর্মীরাও হয়রানিরোধে দায়িত্ব পালন করবে।
হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তির ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান তানভীর হোসেন।