আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ (৭৫) নিহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝিনাইদহ শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ঘরের মধ্যে দগ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। বিক্ষুদ্ধ জনতা তার বাড়িতে প্রবেশ করে লাশ নিয়ে যায় পায়রা চত্বরে। সেখানে তার পোড়া ও উলঙ্গ লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এর আগে হিরণের বাড়িতে জনতা ঘেরাও করলে শহিদুল ইসলাম হিরণ তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জনতার গনপিটুনিতে হিরণের গাড়ি চালক আক্তার হোসেন বিকালে নিহত হন।
এদিকে বহু আলোচিত সমালোচিত শহিদুল ইসলাম হিরণ নিহত হওয়ার খবরে হাজার হাজার জনতা তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়রা চত্বরে এসে জমা হয়। শহিদুল ইসলাম হিরণ জাসদ গনবাহিনী দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর সর্বহারা, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও সর্বশেষ আ’লীগে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বহু হত্যা, নির্যাতন ও অপকর্মের অভিযোগ ছিল। এক সময় তাকে বাংলাদেশের মিডিয়া ‘ঝিনাইদহের এরশাদ শিকদার’ উপাধি দেন।
জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম হিরণ তার রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলে যোগ দেন। এক সময় তিনি জাতীয় পার্টি করতেন। এরপর তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। তারপর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার ভয়ে এলাকার কেউ টু শব্দ করার সাহস পায় না। যে কারণে শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৯নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।