মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলের চোরাচালানের সোনা বহনকারী ওমর ফারুক সুমন হত্যার আলোচিত মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের কামাল হোসেন ও বিল্লাল হোসেন, চঞ্চল হোসেন, রাব্বি বিশ্বাস, রঘুনাথপুর গ্রামের হোসেন আলী, উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের জহিরুল, সাদিপুর স্কুলপাড়ার ইজাজ রহমান, ইস্রাফিল হোসেন, শার্শার শালকোনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম, পলাশ হোসেন, বাপ্পরাজ কটা, স্বপন মিয়া, স্বরুপদহ গ্রামের সফিউদ্দিন সাইফ ওরফে সোহেল রানা ও কুমিল্লার চান্দিনা থানার আলিকামুড়া (দাসেরা বাড়ি) গ্রামের ডালিম কুমার দাস।
আসামিদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন, চঞ্চল হোসেন, রাব্বি বিশ্বাস, হোসেন আলী, জহিরুল, পলাশ হোসেন ও সোহেল রানাকে পলাতক এবং অন্যদের আটক দেখানো হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে ঢাকার অঞ্জন নিয়োগী ও রিয়াজকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন। এছাড়া, চার্জশিটে ওই মামলায় আটক দুইজনের অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলা ও ডিবি পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওমর ফারুক সুমন শার্শা উপজেলার টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। তিনি সোহেল রানা সিন্ডিকেটের হয়ে অর্থের বিনিময়ে বহনকারী হিসেবে ভারতে সোনা পাচারে সহায়তা করতেন। ওই সিন্ডিকেটের পাচারের ৩৪টি সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্তরা ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ওমর ফারুক সুমনকে ধরে বেনাপোলে এনে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেন। এরপর তার মরদেহ মাগুরায় নিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
একই বছরের ১৬ নভেম্বর দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর নামক স্থানে ঝিনাইদহ সড়কের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ওমর ফারুক সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।