যখন মানুষ ‘উদ্ভাবন’ শব্দটি উল্লেখ করেন, তখন তারা প্রায় সময়ই ‘প্রযুক্তি’ নিয়ে ভাবে। যদিও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেকোনো সৃষ্টির সম্মুখভাগেও রয়েছে প্রযুক্তি। শিল্পীরা উদ্ভাবনী উপায়ে নিজেদের প্রকাশ করে এবং বর্তমান ট্রেন্ডগুলোর প্রতিফলন ঘটায়।
তরুণ শিল্পীদের সহায়তা করার জন্য অপো টানা চার বছর ধরে রেনোভেটোর্স ইমার্জিং আর্টিস্টস প্রজেক্ট এর আয়োজন করে আসছে। এ উদ্যোগটি ‘আর্ট অ্যান্ড টেক’ প্রতিপাদ্যের অধীনে মৌলিক, পরীক্ষামূলক শিল্প এবং নকশা সৃষ্টিকে সমর্থন করার ওপর আলোকপাত করে।
চলতি বছর অপো রেনোভেটোর্স ইমার্জিং আর্টিস্টস প্রজেক্টে তরুণ শিল্পী শি জিয়ুয়ানের ইনস্টলেশন ‘এ সামার নাইট’ ফিউচার রেনোভেটোর্স বিভাগে শীর্ষ পুরস্কার জিতেছে। সামার নাইট হলো একটি যান্ত্রিক যন্ত্র, যা বিভিন্ন ধরনের শব্দ তৈরি করে ও উপস্থাপন করে এবং শ্রোতাদের মনে একটি কাল্পনিক জগত তৈরি করে। একটি সুপরিচিত চীনা শাস্ত্রীয় গদ্য কৌজি (ওরাল স্টান্টস) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শি জিয়ুয়ান তার শিল্পকর্মে বিভিন্ন ধরনের শব্দ সংযুক্ত করে ভার্চুয়াল দৃশ্য ও ঘটনা ফুটিয়ে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্মের রাতে পোকামাকড় কিচিরমিচির করে, লোকেরা নিশ্চিন্তে ঘুমায়, ঘরে আগুন জ্বলে এবং মানুষ পালিয়ে যায়।
একই সময়ে, দর্শকদের ভিজ্যুয়াল হিন্ট (ইঙ্গিত) দিতে এবং ভিজ্যুয়াল ও শ্রুতি’র মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে দর্শকদের ভাবতে সাহায্য করার জন্য একটি পেজ-টার্নিং ডিভাইস পাশে রাখা হয়। ‘চিরায়ত ধারণা ভেঙে ফেলে মানুষের তাদের চারপাশে যা রয়েছে তার সম্ভাবনাগুলো উন্মেষ ঘটাতে উত্সাহিত’ করতে শি জিয়ুয়ান ‘এ সামার নাইট’ শিল্পকর্ম নিয়ে এসেছে৷ এটি “উদ্ভাবন” সম্পর্কেও তার চিন্তাভাবনার প্রতিফলন – শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী চিন্তা বা অভিজ্ঞতার বিপরীতে কাজ করার মাধ্যমে আরও সম্ভাবনা ও উদ্ভাবন নিয়ে আসা সম্ভব।
প্রযুক্তি বিকশিত হয়, ডিজাইন ও শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন ও নতুনত্ব নিয়ে আসে। ‘মেটাভার্স’-এর আবির্ভাব নিয়ে লুও ল্যাংই কাজ করেছে, যার প্রধান উপজীব্য হলো ডিজিটাল মিডিয়া আর্ট; এটি একটি নতুনত্বের অনুভূতি যা তিনি আগে কখনও অনুভব করেননি – শুধু ফর্মের অভিনবত্বের ক্ষেত্রেই নয় বরং ভার্চুয়াল জগত বাস্তবতার শৃঙ্খল ভাঙার ক্ষেত্রে আরও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ব্যক্তি উদ্যোগ ও সৃজনশীলতার মধ্যে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে শক্তিহীনতার অনুভূতিকে দূর করা সম্ভব। বর্তমান প্রযুক্তিগত ট্রেন্ডগুলোর সাথে আমরা এগিয়ে যেতে পারি বা উদ্ভাবনকে আলিঙ্গন করতে পারি।
আমরা কীভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারি এবং উদ্ভাবনের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারি? একটি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হিসাবে, অপো এর কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নতুন উপকরণ ও প্রযুক্তি আপনার কল্পনার শেকল ভাঙতে সাহায্য করতে পারে। বছরের পর বছর গবেষণার পর এই ব্র্যান্ড ‘অপো x ২০২১’ রোলেবল ফোন ও অপো ফাইন্ড এন এর মতো উদ্ভাবনী পণ্য উন্মোচন করে, যা দেখতে ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ। এক্সআর গ্লাস কি সাধারণ গ্লাসের প্রতিরূপ হতে পারে? হালকা ও স্লিক ডিজাইনের এই গ্লাস সত্যিই দেখার মতো। অপো এয়ার গ্লাস প্রমাণ করে একটি স্মার্ট ডিভাইস কার্যকরী ও সুন্দর উভয়ই হতে পারে। একটি ফোনের পেছনের নকশা কি শুধুমাত্র গতানুগতিক হবে? কার্ভগুলো আরো মার্জিত ও ন্যাচারাল হতে পারে। ফাইন্ড এক্স সিরিজের পর থেকে অপো আগ্নেয়গিরির আকৃতির ডিজাইন ব্যবহার করেছে, যা আরো অরগ্যানিক লুক নিয়ে এসেছে।
ডিজাইনে নিত্যনতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসার মাধ্যমে অপো এর যাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে নতুন ডিজাইন ফর্ম ফ্যাক্টর খুঁজতে সচেষ্ট রয়েছে। নান্দনিকতা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয় তৈরি করার তাগিদ থেকে অপো সুন্দরভাবে ডিজাইন করা পণ্যগুলো বিকাশের জন্য কাজ করছে। ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্য শুধুমাত্র অপো’র লক্ষ্য নয়, বরং ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে ভবিষ্যত ট্রেন্ডের প্রতি অপো’র প্রতিশ্রুতিও। সূক্ষভাবে প্রতিটি সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করার ধারণা এবং ডিজাইনের সরলতা ও নান্দনিকতা অপোর এর পণ্য ডিজাইন তৈরির বিষয়টিকে ধাবিত করে। অপো’র ডিজাইন ডিএনএ এ ব্র্যান্ডটিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। অপো ক্রমাগত উদ্ভাবন এবং অসাধারণ কিছু নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে।
অপো ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনী স্মার্টফোন নিয়ে আসার চেষ্টা করে যা ব্যবহারকারীদের জন্য কাস্টমাইজড সমাধান প্রদান করবে। যেমন: স্মার্টফোনে ব্যবহৃত উপকরণগুলো বিভিন্ন আকার, মাপ ও উপকরণ এর মাধ্যমে বিবর্তিত হয়েছে।
দাহরণস্বরূপ, অপো গ্লো ফিনিশ নিয়ে এসেছে, যা একটি সূক্ষ্ম ঝিলমিল প্রভাব তৈরি করে, ম্যাট ফিনিশের ব্যাক কভার থাকায় জ্বলজ্বল করে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট-মুক্ত থাকে! অপো গ্লো ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস হলো অপো’র নিজস্ব বিশেষ উৎপাদন পদ্ধতি, যা হাই-এন্ড ও প্রিমিয়াম লুক এনে দেয়। অপো গ্লো প্রসেস হলো একটি অনন্য অ্যান্টি-গ্লেয়ার (এজি) গ্লাস প্রসেস, যা অপো কর্তৃক ডিজাইন করা হয়েছে এবং এর ফলে স্মার্টফোনের গ্লাস বডি এমবেড করা লাখ লাখ হীরার মতো জ্জ্বলজ্জ্বল করে। অপো এ খাতে প্রথমবারের মতো পিআইসিএএসইউএস ফিল্ম, ফ্রেসনেল লেন্স টেক্সচার ও রিফ্লেক্টিভ ইন্ডিয়াম কোটিংকে একত্রিত করে ডায়মন্ড স্পেকট্রাম প্রক্রিয়া চালু করেছে; যার সাহায্যে ‘স্ট্যাকড স্ট্রীমার’ উৎপাদন কৌশল ব্যবহার করে পরিবর্তনশীল রঙের প্রভাব তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রা শুরুর পর থেকে রেনোভেটোর্স ইমার্জিং আর্টিস্টস প্রজেক্ট এর সাথে অপো নিবিড়ভাবে যুক্ত। পণ্য বা আর্ট সংশ্লিষ্ট যেকোন প্রতিযোগিতা হোক না কেন অপো সবসময় তরুণদেরকে ক্ষমতায়নে, মেলে ধরতে ও প্রযুক্তি ও জীবনকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে অনুপ্রাণিত করে। যেমন প্রযুক্তি ও শিল্প একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, তেমনি তরুণ শিল্পী ও অপো উদ্ভাবনের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করে। তরুণ সৃষ্টিশীল মানুষদের সাথে একত্রে অপো প্রযুক্তি ও শিল্পের সৌন্দর্যের মিশেলে বিভিন্ন পণ্য বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষের কাছে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর।