চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর : মুসলিম ধর্মালম্বীদের কেউ কেউ ভিন্ন ধর্মালম্বীদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকে। কিন্তু পবিত্র কোরআন এ শিক্ষা দেয় না। সবাই একই আদমের সন্তান। মহান আল্লাহ তায়ালা সকল আদম সন্তানকেই শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন (সূরা ১৭ বনী ইসরাইল: ৭০)। তিনি চাইলে সবাই সমবেতভাবে ইমান আনতো (সূরা ১০ ইউনুস: ৯২)। মানুষ যাতে একে অপরকে চিনতে পারে, তাই তিনি মানুষকে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও গোত্রে বিভক্ত করেছেন (সূরা ৪৯ হুজরাত: ১৩)।
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বাণী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে প্রদান করেছেন (সূরা ১৬ নাহ্ল: ৮২; সূরা ৩ আলে ইমরান: ২০)। তিনি নবীজি (সাঃ) কে বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সর্তককারীরূপেই প্রেরণ করেছি’ (সূরা ২৫ ফুরকান: ৫৬)। ‘অতএব তুমি উপদেশ দাও; তুমি তো একজন উপদেশদাতা। তুমি তাদের কর্ম নিয়ন্ত্রক নও’ (সূরা ৮৯ ফাজ্র: ২১ ও ২২)। ‘দীন গ্রহণে কোন জোর-জবরদস্তি নেই’ (সূরা ২ বাকারা: ২৫৬)। ‘সুতরাং যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখান করুক’ (সূরা ১৮ কাহ্ফ: ২৯)। তাই তিনি নবীজি (সাঃ)-কে প্রশ্ন করেছেন, ‘তবে কি তুমি ইমান আনার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবে?’ (সূরা ১০ ইউনুস: ৯৯)। সবার হিসাব-নিকাশ মহান আল্লাহ তায়ালারই দায়িত্ব (সূরা ৮৯ ফাজ্র: ২৬)। তিনিই কেয়ামতের দিন মুসলিম, ইহুদি, সাবিয়ী, খ্রিস্টান ও অগ্নিপূজক এবং মুশরিকদের মধ্যে ফয়সালা করবেন (সূরা ২২ হাজ্জ: ১৭)।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা অমুসলিম আত্মীয়দের সাথেও দুনিয়ায় সৎভাবে বসবাস করতে বলেছেন (সূরা ৩১ লুকমান: ১৫)। মুসলিম সমাজে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের স্বাধীনতা প্রদান করে তিনি বলেছেন ‘তোমাদের দীন তোমাদের, আমার দীন আমার’ (সূরা ১০৯ কাফিরূন: ৬)। অন্য ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেও তিনি পবিত্র কোরআনে নিষেধ করেছেন (সূরা ৬ আন’আম: ১০৮)। এছাড়াও তিনি পূর্বেকার সকল নবী এবং সকল আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা ২ বাকারা: ১৩৬)। এমনকি মুসলিমদের জন্য আহলে কিতাবীদের (ইহুদি ও খ্রিস্টান) খাদ্যদ্রব্য হালাল এবং আহলে কিতাবী নারীদেরকে বিয়ে করা মুসলিম পুরুষদের জন্য বৈধ করা হয়েছে (সূরা ৫ মায়িদা: ৫)।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণে কাউকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করতে নিষেধ করেছেন (সূরা ৫ মায়িদা: ৮)। ন্যায় বিচার ব্যতিরেকে তিনি কোনো মানুষকে (মুসলিম বা অমুসলিম) হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন (সূরা ৬ আন’আম: ১৫১ ও সূরা ১৭ বনী ইসরাইল: ৩৩) এবং অন্যায়ভাবে ‘একজন মানুষ হত্যা’ পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যার শামিল বলে আখ্যায়িত করেছেন (সূরা ৫ মায়িদা: ৩২)।
উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী পৌঁছে দেওয়ার মহান দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে, অর্থাৎ আল্লাহ্র দ্বীন ‘ইসলাম’কে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে নবীজি (সাঃ)-কে অমুসলিমগণ কর্তৃক চাপিয়ে দেয়া অসংখ্যা গাজওয়া (বড় ধরণের যুদ্ধ) ও সারিয়া (ছোটখাট দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ) পরিচালনা করতে হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা অমুসলিমদের সাথে বাড়াবাড়ি এবং সীমালঙ্ঘন না করে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা ২ বাকারা: ১৯০)। তবে দ্বীনের ব্যাপারে যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তাদেরকে স্বদেশ হতে বহিস্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ নিষেধ করেননি (সূরা ৬০ মুম্তাহিনা: ৮)। এতদ্ভিন্ন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিকতা বা অন্য ধর্ম গ্রহণ করার কারণে, অর্থাৎ ‘মুরতাদ’ হওয়ার কারণে কাউকে হত্যা করার বিধান পবিত্র কোরআনে তো নাই’ই, এমনকি পবিত্র কোরআনের বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কোনো সহীহ হাদিসেও নাই।
মুসলিম প্রধান দেশে অমুসলিম নাগরিকদের সুরক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে পবিত্র কোরআনের বিধান ছাড়াও মহানবী (সাঃ) এঁরও নির্দেশ রয়েছে। নবীজি (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায় (বুখারি, হাদিস: ২৯৯৫ ও ৩১৬৬)। এছাড়াও তিনি বলেন, সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব’ (আবূ দাঊদ: ৩০৫২)।
তবে সূরা ৯ তাওবা: ২৯ নম্বর আয়াতে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সূরা ৫ মায়িদা: ৫১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করলেও পরবর্তী আয়াতেই খ্রিস্টানদের সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলেছেন। এ আয়াতগুলো যুদ্ধ বা বিশেষ পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত, যা ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, নবীজি মুহাম্মদ (সা:) ‘মদীনা সনদ’ এর মাধ্যমে সর্বজনীন অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম বহুজাতিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। ‘মদীনা সনদ’ তৎকালীন মদীনায় বসবাসরত বিভিন্ন গোত্রসমূহের মধ্যে স্বাক্ষরিত ৫৩টি অনুচ্ছেদ বিশিষ্ট একটি চুক্তি। এ চুক্তি নবীজি মুহাম্মদ (সা:) প্রজ্ঞার অন্যতম প্রধান নিদর্শন ও পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় সংবিধান হিসাবে স্বীকৃত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়সমূহ’ই ‘মদীনা সনদ’র প্রধান উপজীব্য। ‘মদীনা সনদ’র ফলে সকল ধর্ম ও গোত্রের মানুষের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তথাপিও কোন কোন গোত্র কর্তৃক চুক্তির শর্ত ভঙ্গের ফলে মাঝে মাঝে কোনো অমুসলিমরা শত্রু হিসাবে বিবেচিত হয়েছে, এমনকি যুদ্ধাবস্থাও সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তি ভঙ্গকারী এসব গোত্র এবং চুক্তির বাইরে থাকা কতিপয় গোত্র যারা মুসলিমদেরকে বাড়ি-ঘর হতে বিতাড়িত করেছে, উক্ত আয়াতসমূহ তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। এতদ্ব্যতীত যারা আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং জমিনে সন্ত্রাস বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে, তাদেরকেও মহান আল্লাহ তায়ালা কঠিন শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা ৫ মায়িদা: ৩৩)। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কিংবা ভয়ংকর অপরাধীর বিরুদ্ধে এরূপ কঠিন শাস্তির বিধান দেখতে পাওয়া যায়।
মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে প্রবেশের জন্য তাঁর বান্দাদের দলীয় মতাদর্শ বিবেচনা করবেন না। বরং জান্নাতে প্রবেশের জন্য বান্দার ব্যক্তিগত ‘প্রোফাইল’ (আমলনামা) বিবেচিত হয়, যা ফেসবুকের প্রোফাইলের মতো লক করে রাখার সুযোগ নাই। আর ব্যক্তিগত প্রোফাইলের মানদন্ড হলো প্রতিটি বান্দার ‘বিশ্বাস ও সৎকর্ম’, যা আমরা গত সপ্তাহের উপস্থাপনায় উল্লেখ করেছি। এজন্যই মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করতে আদেশ দিয়েছেন (সূরা ৫ মায়িদা: ৪৯)। সৎকর্মের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হলে আল্লাহর যে কোনো বান্দা, তা সে ইহুদি-খ্রিস্টান যে কোনো ধর্মেরই হোক না কেনো, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশাধিকার দিবেন। কথাটি অনেকের কাছে নূতন মনে হলেও এটা তাঁরই কথা, যা তিনি পবিত্র কোরআনের সূরা ২ বাকারা: ৬২ নম্বর আয়াতে ব্যক্ত করেছেন। আমরা এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম হতে উক্ত আয়াতের বাংলা অর্থ হুবহু তুলে ধরছি:
“নিশ্চয়ই যারা ইমান এনেছে, যারা ইহুদি হয়েছে এবং খ্রিস্টান ও সাবিঈন – যারাই আল্লাহ ও আখেরাতে ইমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য পুরস্কার আছে তাদের প্রতিপালকের নিকট। তাদের কোন ভয় নাই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।”
আমরা জানি, সকল আব্রাহামিক ধর্মের অনুসারীরাই, অর্থাৎ উপরোক্ত আয়াতে উল্লেখিত ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা একেশ্বরবাদী ও পরকালে বিশ্বাসী। অন্যদিকে উক্ত আয়াতে উল্লেখিত ‘সাবিঈন’ বলতে নক্ষত্রপূজারী, মতান্তরে ফেরেশতা পূজারী বা সনাতন প্রথাভিত্তিক ধর্মাবলম্বী বুঝায়। ছান্দোগ্যোপনিষদ (৬:২:১) অনুসারে সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তারা পরকালেও বিশ্বাস করে। তাই উপরোক্ত আয়াত অনুসারে সৎকর্মের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হলে মহান আল্লাহ তায়ালা ইহুদি, খ্রিস্টান, সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকেই জান্নাতে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন।
আমাদের দেশে কিছু কিছু (অবশ্যই সবাই নয়) মোল্লা আছে, যারা অমুসলিম ‘তো দূর কি বাত হায়’, নিজ ফিরকার বাইরের কোনো মুসলিমকেই জান্নাতে প্রবেশাধিকার দিতে নারাজ। তারা অনবরত নিজের জিহ্বা দ্বারা অন্যের পশ্চাদদেশ পরিস্কার করেন। এর ফলে নিজের জিহ্বায় লেগে থাকা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের দূর্গন্ধ দ্বারা সমাজের বায়ুমন্ডল দূষিত করেন। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, এমনকি মুসলিমদের পরস্পরের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হয়। এ জাতীয় মোল্লারা সমাজ-সংসারের সাথে সম্পর্কহীন নানা বিষয়ের সাথে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দেন। এমনকি পারলে জান্নাতের টিকেটও হাতে ধরিয়ে দেন। পাশাপাশি তারা নিজ ফিরকার বাইরের সবাইকে (তা সে মুসলিম বা অমুসলিম যেই হোক) জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা বানিয়ে দেন। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, জান্নাতের মালিক মহান আল্লাহ, নাকি ঐসব মোল্লা (নাউজুবিল্লাহ)! তাই এক্ষণে আমার জানতে ইচ্ছে করছে, জান্নাতের টিকেট বিক্রেতা ঐসব মোল্লারা কি পবিত্র কোরআন পড়েন না?
Disclaimer: এ অংশে বরাবরের মতোই একই কথা বলছি। এ উপস্থাপনাটি আমি কাউকে জ্ঞান প্রদানের জন্য করিনি (কারণ সে যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে করিনা) বা এ উপস্থাপনায় আমার নিজস্ব কোনো মতামতও নেই; শুধুমাত্র পবিত্র কোরআনে অমুসলিম সম্পর্কে যে বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে, তা উল্লেখ করেছি মাত্র। এবং সেটা করতে গিয়ে আমার মনে যে প্রশ্নের উদয় হয়েছে, আপনার মতো উচ্চমার্গের মেধা-জ্ঞান-প্রজ্ঞা-বিবেকসম্পন্ন মানুষের সুচিন্তিত মতামতের উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধকরণ ও আত্মোন্নয়নের লোভে লোভাতুর হয়েই আমার এ জিজ্ঞাসা। তবে এক্ষেত্রে আমার যদি কোনো তথ্যগত ভুল হয়ে থাকে, সে ভুল আমাকে ধরিয়ে দিলে আমি তা সংশোধন করবো। তথাপিও আমার যেকোনো অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার মূল্যবান মতামত হতে আমার পাশাপাশি অন্যরাও উপকৃত হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কিন্তু আমার এ উপস্থাপনা আপনার ভালো না লাগলে, দয়া করে স্রেফ এড়িয়ে যাবেন এবং উত্তর বা প্রত্যুত্তরে কোনরূপ কটূক্তি করবেন না। আমরা জানি যে, কারো সম্পর্কে কটূক্তি বা নিন্দা (হুমাযাহ্) হলো সবচেয়ে বড় পাপ, কারণ একমাত্র হুমাযাহ্ নামক পাপের নামেই পবিত্র কোরআনে আলাদা একটি সূরা রয়েছে। আর হুমাযাহ্’র শাস্তি নিশ্চিতভাবে হুতামা’য় (জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড) নিক্ষিপ্ত হওয়া (সূরা ১০৪ আল-হুমাযাহ্: ১, ৪ ও ৬)।
লেখক : র্যাব কর্মকর্তা।