ফারজানা ববী : একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিশু বয়স থেকে কোডিং শেখার কোন বিকল্পনেই। কোডিং, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি ভীতি দূর করে যৌক্তিক সমস্যা, গণনামূলক সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা ও শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে। কোডিং শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।কোডিংকে এই মূহুর্তে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুলস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
মার্গারেট মিডে বলেন, “শিশুদের অবশ্যই শেখানো উচিত কিভাবে ভাবতে হয়, কি চিন্তা করতে হয় না, কোডিং শিশুদের কিভাবে ভাবতে হয় তা শেখায়। কোডিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক চিন্তা করা শিখতে পারে এবং এর মাধ্যমে তাদের শেখা এবং মৌখিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে সক্রিয় করতে চাই প্রযুক্তি দ্বারা। কোডিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন মজার উপায়ে প্রোগ্রামিং এর সাথে পরিচিত হতে পারবে তেমনি শিক্ষকরাও তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো উপভোগ্য ও সহজবোধ্য করতে পারবে। তাছাড়া কোডিং বাপ্রোগ্রামিং জানা থাকলে পৃথিবীর কোন কাজই কঠিন নয়।
ইতিমধ্যে দেশের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।ছয়শত পঞ্চাশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যা খুব শীঘ্রই চালু হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যক্রম এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে ডিজটাল কনটেন্ট। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের প্রাথমিক বিজ্ঞান পাঠ্য বইয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘আমাদের জীবনে তথ্য’ অধ্যায় এর বর্ধিত অংশ সংযোজন করা হয়েছে। সেই অধ্যায়টিতে স্ক্যাচ প্রোগ্রামিং বিষয়ক ধারণাও ছোট ছোট কাজের উল্লেখ রয়েছে। যে কাজগুলো হাতে কলমে করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খুব আনন্দ লাভ করবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির যে বিষয়গুলো তারা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে আগে দেখেছে সেগুলো কিভাবে তৈরি করা হয় তা সম্পর্কে প্রারম্ভিক ধারণা লাভ করবে।
কোডিং শব্দটির আক্ষরিক অর্থ প্রোগ্রামিং। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটারকে দিয়ে কোন কাজ সম্পন্ন করানোর পদ্ধতিকে কোডিং বলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্ক্যাচ কোডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন লজিক, ইভেন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে। স্ক্যাচে, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো ব্লক আকারে দেয়া থাকে, তাই শিক্ষার্থীরা খুব সহজে ব্লকগুলো ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে।
কোডিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, অ্যাপস, গেইমস অপারেটিং সিস্টেম এর মতো ডিজিটাল জিনিসগুলো তৈরি করা সম্ভব। আর ডিজিটাল এই বিষয়গুলো সম্পর্কে শিখতে হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে এখনই তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোডিং বা প্রোগ্রামিং এর ধারণা হাতে কলমে প্রদান করা ছিলো সময়ের দাবি। যা প্রদান করার শুভ সূচনা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কোডিং শেখার এই ভিত্তির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর হিসেবে উদ্যোমী হয়ে নিজেকে গড়ে তুলবে এবং প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আলোকিত করবে এই দেশটাকে।
সহকারি ইন্সট্রাক্টর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার গাজীপুর সদর, গাজীপুর।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
শিখব কোডিং প্রাথমিকে আলোকিত করব দেশটাকে https://corporatesangbad.com/461508/ |