নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে যে প্রতিবেদন এসেছে তা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি বাড়িতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসার এমডি এসব কথা বলেন।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নয়। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাও একটা অ্যাপার্টমেন্ট।’
তিনি বলেন, আমি ১৯৮৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। প্রতিবেদনে শুধু একটি বিষয় ঠিক লিখেছে সেটা হচ্ছে আমার যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ। আমার স্ত্রীসহ আমার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। আমাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এনে ওয়াসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনে সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে, তারা যেগুলো দিয়েছে। আপনি ইন্টারনেটে আমাদের নাম সার্চ করলে দেখতে পারবেন যে, আমি কোথায় ছিলাম এবং কী করেছি। এটা কোথায় পেলেন! ইন্টারনেটে সব পাওয়া যায়? ওখানে কোন বাড়িতে কারা ভাড়া থাকত, সব তথ্যই আছে। আমার পরিবার ওখানে ভাড়া থাকার সুবাদে সেখানকার পাঁচ বাড়ির ভাড়াটিয়ার তালিকায় আমাদের নাম আছে।’
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার যে কথা বলা হয়েছে ওটা স্টান্টবাজি। আর দুদকে অভিযোগ তো থাকতেই পারে। সেটা একটা গোষ্ঠী করছে। ঢাকা ওয়াসার ভালো কাজে যাদের ক্ষতি হয়েছে তারাই আমার পেছনে লেগেছে।
তাকসিম এ খান বলেন, আমি জীবনে একটা পয়সাও হারাম খাইনি। আগামী দিনেও খাবো না। আমার স্ত্রীর বাবার অনেক সম্পদ আছে। কিন্তু ঢাকায় আমার কোনো সম্পদ নেই।
তিনি বলেন, আমি বহুবার ঢাকা ওয়াসার এমডি পদের চাকড়ি ছেড়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে। আমার কাজে মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী কখনো বিব্রত হননি।
এদিকে, সোমবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে মোট ১৪টি বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তিন মোবাইল ফোন কোম্পানিকে পাওনা পরিশোধের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের ১৪ বাড়ি: অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট