কারামুক্ত মির্জা ফখরুল ও আব্বাস

Posted on January 9, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাশকতার মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি নেতা ও তাঁদের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েছেন।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল জানান, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আজ সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এলে আমরা জামিননামা দাখিল করি। এ জামিননামা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারামুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিন আদেশের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছায়। তাঁদের জামিননামার কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখার পর মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গতকাল রোববার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরদিন জামিনাদেশ স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে ৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।