বিনোদন ডেস্ক : শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ঢালিউডের সবচেয়ে বিগ বাজেটের সিনেমা ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। যা নির্মিত হয়েছে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্টি মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন পরিচালক আসিফ আকবর। আর তার সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। এতে মাসুদ রানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সকল কলাকুশলীরা।
সেখানে পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি আবেগ। যারা বইগুলো পড়েছেন, সবার মধ্যে চরিত্রের একটি অবয়ব তৈরি করা আছে। এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় ৬ বছর লেগেছে সিনেমাটি নির্মাণ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট থেকে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ পর্যন্ত আমি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করিনি। আমি বলব, আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছি। বাকিটা পর্দায় দেখা যাবে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব সিনেমাটি দেখার জন্য। ভালো-মন্দ জানাবেন।’
সিনেমাটি বাংলাদেশ থেকে প্রযোজনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সিনেমাটি প্রসঙ্গে প্রযোজক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ এরই মধ্যে সেন্সর পেয়েছে, যেটি ২৫ আগস্ট মুক্তি পাবে। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলা ডাবিংয়ের অংশ সেন্সর পেলে এ সপ্তাহে সিঙ্গেল স্ক্রিনে চলবে।’
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে বাংলা ডাবিং করা ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ দেশজুড়ে দেখা যাবে। এছাড়াও, আমেরিকার ১৫২টি থিয়েটারে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।
মাস দুয়েক আগে ‘এমআর-৯’র টিজার প্রকাশ করা হয়। হলিউড ধাঁচে বানানো সেই ঝলকজুড়ে ছিল মারকাট অ্যাকশন আর রহস্যের অস্তিত্ব। তবে গল্প সম্পর্কে তেমন কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি।
এবিএম সুমন ছাড়া কেবল একজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তিনি শহীদুল আলম সাচ্চু। এছাড়া অভিনয় করেছেন মাইকেল জেই হোয়াইট, সাক্ষী প্রধান, নিকো ফস্টার, ম্যাট পাসমোর, কেলি গ্রেসন, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ।
কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা। এই চরিত্রটি নিয়ে তিনি অনেকগুলো বই লিখেছেন। এর মধ্যে ‘ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘এমআর-৯’। নির্মাতা আসিফের সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৮৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। সেই হিসাবে এটি দেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা প্রজেক্ট। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এটি প্রযোজনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস।
আরও পড়ুন:
‘এমআর-৯’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ