অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নতুন পেঁয়াজ আসতে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ১৩ লাখ টন আমদানি অনুমতির বিপরীতে মাত্র ৩ লাখ টন আমদানি হয়েছে। তাই সঙ্কট বাড়ছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত কোনো ধরনের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত সুযোগ দেওয়া। তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার কীভাবে সামলাবো সেটা মোকাবিলা করাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত বাংলাদেশকে সুযোগ দেওয়া। ভারত তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়িয়েছে শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত পেঁয়াজে রপ্তানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশেকে অনেক ভুগতে হয়। সম্প্রতি ভারত সফরে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রীকে এমন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়ছিল। তারা গমের ক্ষেত্রে আর এমন করবে না আশ্বস্ত করেছিল। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবে কি-না জানা নাই।
তিনি আরও বলেন, মিশর বা তুরস্ক থেকে আমদানি করা যায় কি-না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অন্য যেকোনো দেশ থেকে কোনো ব্যবসায়ী আমদানি করতে চাইলে অনুমতি দেয়া হবে।.
পেঁয়াজের সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বড় সমস্যা হলো পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না, পচে যায়। এটা একটা সমস্যা। চলতি বছরে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে। গত বার দাম না পাওয়াতে চাষিরা পেঁয়াজ উৎপাদন কম করেছে।
আরও পড়ুন:
অনাবৃষ্টিতে পান চাষিদের কপালে হাত!