স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ আয়োজন নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, যা তা অবস্থা। এসময় তিনি বলেছিলেন, আমার বেশি দিন লাগবে না। আমি বিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পেলে দুই-এক মাসের মধ্যেই সব ঠিক করে ফেলতাম।
সাকিবের মন্তব্যের জবাবে টুর্নামেন্টের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমে সাকিবকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাই। সে যদি বিপিএলের সিইও হয়ে আসতে চায়, আমরা গভর্নিং বোর্ড থেকে তাকে স্বাগতম জানাই। সে যদি চায়, সামনের বছর থেকেই সিইওর দায়িত্বটা পালন করুক।
রোববার (৮ জানুয়ারি) আরেক অনুষ্ঠানে এক ভক্তের করা প্রশ্ন ছিল সাকিবের প্রতি বিসিবি যদি প্রস্তাব দেয় সিইও হতে চান কী না? তখন হাসতে হাসতেই উত্তর দেন সাকিব, ‘হলে তো বিসিবির প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো।’ সাকিবের উত্তরে হলভর্তি ভক্তরা তালি দিয়ে সাধুবাদ জানায়।
এখন থেকে প্রায় দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডয়চে ভেলের সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি জানি যে আমিই হব বিসিবির ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট এবং এটা আমি খুব ভালোভাবেই বিশ্বাস করি যে আমার পক্ষে সেটা সম্ভব।’
এরপর সাকিব সেদিন আরও বলেছিলেন, সম্ভব হলে বিসিবির প্রেসিডেন্ট হতে চাইবেন তিনি। সাকিবের সেই ইচ্ছা যে এখনও খুব ভালো করেই বিদ্যমান; সেটি সেই ক্রিকেটার আবার জানান দিলেন। বিপিএলের সিইও ইস্যুতে সাকিব এবার সরাসরি বলেছেন, ‘সিইও কেন, হলে তো সভাপতি হওয়া ভালো।’
উল্লেখ্য, চলতি বিপিএলের চরম অব্যবস্থাপনার দরুণ, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারের সময় সাকিব জানিয়েছিলেন, বিপিএলের সিইও হলে আমূল বদলে দিতেন টুর্নামেন্টটিকে। এর জন্য সর্বসাকুল্যে দুই মাসও সময় চেয়েছিলেন এই ক্রিকেটার।
তার ভাষ্যে, আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপিএলের, আমার বেশি দিন লাগবে না। আমার ধারণা, সব ঠিক করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস লাগবে। ম্যাক্সিমাম। দুই মাসও লাগবে না।
সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, নতুন করে অকশন হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, আধুনিক সব প্রযুক্তি থাকবে। সম্প্রচার ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।
সাকিবের এমন সাক্ষাৎকারের পর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান শেখ সোহেল সাকিবকে সিইও হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ সোহেল গণমাধ্যমে বলেছিলেন, আমি সাকিবকে ধন্যবাদ জানাই। সে বিপিএলের সিইও হিসেবে আসতে চায়, যেটা সে তার দৃষ্টি থেকে বলেছে। আমরা গভর্নিং বডি থেকে তাকে আসার জন্য ওয়েলকাম জানাই। সে সামনের বছর থেকে এসে সিইওর দায়িত্ব পালন করুক।
আমাদেরকে বিপিএল পরিচালনা করতে সাহায্য করুক। আমরা ওকে এখন থেকেই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এখন যেহেতু সে খেলছে, আমরা তাকে প্লেয়ার হিসেবেই দেখতে হবে। এখন তো সে খেলা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে সামনের বছর চলে আসুক।
সাকিবকে বিপিএলের সিইও হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর এই বিষয়টি জানিয়ে প্রশ্ন ছোড়া হয়েছিল, তবে কি এই ক্রিকেটারকে দেখা যাবে এই পদে? এর উত্তরে সাকিব রীতিমতো ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
আরও পড়ুন: