কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : আপিল বিভাগের এক বিচারপতি অসুস্থ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্যের বৈধতার আপিল শুনানি পিছিয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকালে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন অসুস্থ থাকায় আজ ফুল কোর্ট বসেনি। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন তারিখ দেবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একাদশ জাতীয় সংসদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)। সেদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চলে শুনানি। পরে রোববার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করা হয়। কিন্তু আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন অসুস্থ থাকায় আজ ফুল কোর্ট বসেনি। পরে এর শুনানির জন্য নতুন তারিখ দেবেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম রিট করেন। রিটের পক্ষে লড়েন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ১১ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রিট খারিজের চার বছর পর তারা এ আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
তারও আগে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ায় বর্তমানে দুটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থি।
নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন রিট দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।