কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : আইটি প্রকৌশলীসহ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। একইসঙ্গে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ও গবেষণা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ খাতে বিনিয়োগ করতে চায় দেশটি।
রোববার (২৩ জুলাই) সোনারগাঁওয়ে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এই আগ্রহের কথা জানান।
জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি রপ্তানি থেকে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্জিত ১২০ মিলিয়ন ডলারের বাজারকে বিলিয়ন ডলার এ উন্নীত করা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন।
এসময় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জাপানে রফতানি বাড়াতে আইটি বা আইটিইএস রফতানি পোর্টফোলিও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে সরকার আগামী তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখ শিক্ষার্থীকে এআই, বিগ ডাটা, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টর প্রভৃতি উদীয়মান প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেবে জানিয়ে এই প্রশিক্ষিত জনশক্তি জাপানের বাজারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে বলেন, ৭টি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে সফটওয়্যারের পর বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার খাতে এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগে জাপানের আগ্রহ রয়েছে।
এছাড়াও দেশটি জনঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের এআই, রোবটিক্স মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার সুরক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তা পূরণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি হাইটেক পার্কে বাংলাদেশ-জাপান আইটি ইনস্টিটিউট ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আর এ সকল বিষয়ে চূড়ান্ত করতে প্রতিমন্ত্রীকে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। বৈঠকে বাংলাদেশী আইটি বা আইটিইএস বা হার্ডওয়্যার কোম্পানি বা স্টার্টআপদের জন্য একটি আইটি সামিটের আয়োজন করা বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সনি’র পর হিটাচি, তোশিবা, টয়োটা, নিশান ও কাওয়াসাকি বাংলাদেশে তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খুলবে। সফটওয়্যার খাতে জাপান বাংলাদেশের জন্য ষষ্ঠ রপ্তানি কারক দেশ হিসেবে আরো বেশি মনোযোগী হবে সরকার।
এসময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম, আইসিটি বিভাগের ইডিইজি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার আব্দুল বারী তুষার, জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওভারসিজ এনার্জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার অফিসের পরিচালক উমেদা হিদেয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর মহাপরিচালক মেতসুউ টেকেহিকো, বাণিজ্য নীতি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অফিসের পরিচালক, মুরায়ামা কাতসুহিকো, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, প্রথম সচিব হারুতা হিরোকি এবং আজুমায়া কেনজি সহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪২ কোটি ডলার
১২ কোটি টাকা কর দিতেই হবে ড. ইউনূসকে
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী