ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নিউ ইয়র্কের পিজি গ্রুপের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মত নিউ ইয়র্কের পিজি গ্রুপের আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিনে মঙ্গলবার সকালে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পিজি গ্রুপের কর্ণধার পার্থ গুপ্তসহ আয়োজকবৃন্দ। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যামাইকার ম্যারি লুইস একাডেমিতে (১৭৬-২১ ওয়েক্সফোর্ড টেরেস,জ্যামাইকা) পিজি গ্রুপের আয়োনে সাবিনা ইয়াসমিনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগেই নব্বই শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়েছে জানিয়েছেন পিজি গ্রুপের স্বত্তাধিকারী পার্থ গুপ্ত। তিনি বলেন, এবারে স্বল্প মূল্যে টিকেট বিক্রি করেছি। টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০,৩০, ৫০ ও ১০০ ডলার।
গান গাওয়ার জন্য দেশবরেণ্য এ শিল্পী বিশ্বে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, হংকং, আমেরিকা, বাহরাইন ইত্যাদি। এছাড়া ভারত, পাকিস্তানে তিনি অনেকবার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন। সাবিনা ইয়াসমিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘উল্কা’ নামের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
এছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিন সঙ্গীতে অবদানের জন্য পুরষ্কৃত হয়েছেন অনেক বার। ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মোট ১৪টি, বাচসাস পুরস্কার মোট ৬টি, বিএফজেএ পুরস্কার মোট ১৯৯১ সালে। উত্তম কুমার পুরস্কার ১৯৯১ সালে, এইচ এম ভি ডাবল প্লাটিনাম ডিস্ক, বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ থেকে সংগীতে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি লাভ করেছেন ১৯৮৪ সালে, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৭৫ সালে চলচ্চিত্র পূবাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৯০ সালে শেরে বাংলা স্মৃতি পদক, ১৯৯২ সালে অ্যাস্ট্রোলজি পুরস্কার, ১৯৯২ সালে জিয়া স্মৃতি পদক এবং নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পান ‘বেস্ট সিঙ্গার’ পুরস্কার। ২০১৭ সালে দশম স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-দ্য ডেইলি স্টার জীবনের জয়গান উৎসবের আজীবন সম্মাননা পান।