মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’ এ প্রতিপাদ্যে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সব দিক থেকে ফিটনেস অর্জনের আহ্বান নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো পালিত হলো ‘টোটাল ফিটনেস ডে’। দিবসটি পরবর্তীতে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ৭টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বীচ পয়েন্টে এ বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়।
এসময় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে যোগ ব্যায়াম, বডি ব্যালান্স টেস্ট, সচেতনতামূলক বুলেটিন-ব্রোশিউর বিতরণসহ আলোচনা, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সকাল ৮ টায় সচেতনতামূলক পথযাত্রা সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে শহরের লালদীঘিতে গিয়ে শেষ হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানায়, দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য টোটাল ফিটনেস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সবদিক থেকেই ভালো থাকা। সবদিক বলতে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চারটি দিকেই ভালো থাকা বোঝায়। সবদিক থেকে ফিট থাকলেই সার্বিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব। তাই দরকার টোটাল ফিটনেস।
এ বিষয়ে ইমিউনোলজিস্ট প্রফেসর ক্যারোলা ভিনেস ও জেমস লি দীর্ঘ গবেষণার পর বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু রোগের উৎপত্তি হচ্ছে, আগের কোনো সময়ে যার কোনো দেখা মেলেনি। এ জন্যে তাঁরা খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবারের প্রতি বিশ্বজুড়ে সবার ব্যাপক আগ্রহকে দায়ী করেছেন।”
তারা বলেন, ‘টিন, প্যাকেট ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজে শারীরিক ফিটনেস অর্জিত হয়। রাতে বেশি না খেয়ে সকালে বেশি খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, যোগব্যায়াম ও রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন তারা।’
দালাই লামার উক্তি, ‘যদি তুমি অন্যকে সুখী দেখতে চাও তাহলে সমমর্মী হও। নিজেকে সুখী দেখতে চাইলেও তুমি সমমর্মী হও’। দালাই লামার এ উক্তিকে মানসিক সুস্থতার মূলমন্ত্র মনে করেন আয়োজকরা।