নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করছেন মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা।
এবারের বাজেটে আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ টাকা। বিশাল এই ঘাটতি মেটাতে আগামী বাজেটে সরকার বৈদেশিক ঋণ নেবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার বৈদেশিক ঋণ বাড়াচ্ছে ৭ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫ দশমিক ২০ শতাংশের সমান। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও টানা পঞ্চম বাজেট।
এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
প্রতিবছরই বাজেট ঘোষণার পর কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ে, আবার কোনো কোনো পণ্যের দাম কমেও।
এবারের বাজেটে দাম বাড়ছে যেসব পণ্য:
মোবাইলফোন : প্রতি বছর মোবাইলফোন পাল্টানো ফ্যাশনের অংশ, যা শখে পরিণত হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে আইএমএফ-এর পরামর্শে মোবাইলফোনকে বিলাসীপণ্য বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইলফোন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি আছে, সেখানে ২ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। আর সংযোজন পর্যায়ে ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে মোবাইলফোনের দাম বাড়তে পারে।
লেখার কলম : বাচ্চার জন্য কলম কেনার খরচও বাড়বে। কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে কলমের দাম বাড়তে পারে।
গৃহস্থালি সামগ্রী : গৃহস্থালি সামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। একইহারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন : শহরে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করা হয়। শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে, মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে।
এলপি গ্যাস সিলিন্ডার : সারা দেশে রান্নার কাজে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। বাজেটে সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে বাজারে সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।
বাসমতি চাল : সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বা উৎসব-পার্বণে বিরিয়ানি, তেহারি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। এই শখের খাবার খেতেও বাড়তি খরচ করতে হবে। কারণ, বিরিয়ানি-তেহারির প্রধান উপকরণ বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে চালের দাম বাড়তে পারে। ফলে বাড়তে পারে বিরিয়ানি কিংবা কাচ্চির দামও।
কাজু বাদাম: সুস্বাস্থ্যের জন্য কাজু বাদাম অনেকের কাছেই প্রিয়। দেশে বাদাম চাষকে উৎসাহিত করতে কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই আমদানি করা কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে।
খেজুর: সুস্বাস্থ্যের জন্য খেজুর খান অনেকে। বাজেটে তাজা ও শুকনা খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। মূলত শুল্ক ফাঁকি রোধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিদেশি ফল: এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল ও বাদামের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে বিধায় ফল ও বাদামের দাম বাড়তে পারে।
সিগারেট: বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। নিম্নস্তরের এক প্যাকেট (২০ শলাকার) সিগারেটের (যেমন-হলিউড, ডার্বি) দাম ৯০ টাকা, মধ্যমস্তরের (স্টার, নেভি) ১৩৪, উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ২২৬ এবং অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মালবোরো) সিগারেটের দাম ৩০০ টাকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে জর্দা-গুলের দামও। তবে বিড়ির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের চশমার দাম বেড়ে যেতে পারে।
নির্মাণ সামগ্রী : বাজেটে বাড়ি নির্মাণের খরচ বাড়ানো হবে। বাড়ি নির্মাণের প্রধান উপকরণ সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা শুল্ক আছে, এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হচ্ছে। এ কারণে সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বিদেশি টাইলস আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ কারণে বিদেশি টাইলসের দাম বাড়তে পারে। যদিও গত একবছরে রড, সিমেন্ট, ইট ও অন্যান্য পণ্যের দাম এমনিতেই বেড়ে গেছে। এর মধ্যেই সিমেন্টের কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়তে পারে আগামী বাজেটে।
ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ) এলাকায় জমি নিবন্ধনের ট্যাক্স বিদ্যমান ৩ শতাংশ ও ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া ফ্ল্যাট বিক্রিতে বিদ্যমান গেইন ট্যাক্স বাড়তে পারে। ফলে আগামী অর্থবছর থেকে উভয় ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ গুণতে হবে।
বিদেশ ভ্রমণ: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি করের চাহিদা মেটাতে বিদেশগামী যাত্রীদের ওপর ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি কর আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বিদেশে যাওয়া-আসা খরচ বেড়ে যেতে পারে। তবে হজ কিংবা চিকিৎসার জন্য যারা বিদেশ ভ্রমণ করবেন, তারা আগের মতোই কর সুবিধা পাবেন।
বাই সাইকেল: বাই সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এতে পরিবেশ রক্ষা করা বাহনের দাম বেড়ে যেতে পারে।
সিরিশ কাগজ: সিরিশ কাগজ আমদানিতেও শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে সিরিশ কাগজের দাম বেড়ে যেতে পারে।
আঠা: ভাঙা জিনিস জোড়া দেওয়ার আঠা বা গ্লু সংরক্ষণমূলক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। ফলে আঠার দাম বাড়তে পারে।
দামি গাড়ি: আগামী অর্থবছরের বাজেটে দামি গাড়ির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। এতে দামি গাড়ির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানিতে এখন ২০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসে। এটা বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ এবং ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে ৫০০ শতাংশ করা হতে পারে। ২০০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতাবিশিষ্ট গাড়ি সাধারণত জিপ গাড়ি হয়। এখন দেশে বিপুল।
বাজেটে দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
মাংস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। একই সঙ্গে এই পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে। যার প্রভাবে মাংসের দাম কমতে পারে।
দেশে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট
উৎপাদন উৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস সকেট আমদানি করতে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রয়েছে। এবারের বাজেটে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসতে পারে। যার প্রভাবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম তুলনামূলক কমতে পারে।
ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। ফলে তাদের ডেলিভারি চার্জ কমবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
বাজেটে দাম কমার তালিকায় রয়েছে মিষ্টি। এবার মিষ্টির ওপর ভ্যাট কমানো হতে পারে। ভ্যাট বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করছে সরকার। পাশাপাশি কিছু প্যাকেটজাত মিষ্টিজাতীয় পণ্যের দামও কমতে পারে।
ডায়াবেটিস-ক্যানসার-যক্ষ্মার ওষুধ
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধে উৎপাদনপর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার ফলে দাম কমতে পারে। এছাড়া ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধেও করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এ সম্পর্কিত ওষুধের দামও কমতে পারে।
হাতে তৈরি বিস্কুট-কেক
হাতে তৈরি বিস্কুটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সীমা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজিতে ভ্যাট অব্যাহতি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং কেকের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ কমবে। তবে পার্টি কেকের ক্ষেত্রে এ ছাড় নেই।
পশুখাদ্য
পশুখাদ্যের উপকরণ নারকেলের শুষ্ক শাঁসের উচ্ছিষ্ট উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে এর উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে। ফলে বাজারে এর দামও কমতে পারে।
ব্লেন্ডার-প্রেসার কুকার-জুসার
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেসার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আরও দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানার জন্যও একই সুবিধা থাকবে। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে বর্তমানে ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
উড়োজাহাজ ইজারা
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ইজারার ওপর ভ্যাট ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে অগ্রিম কর অব্যাহতির প্রস্তাবও করেছেন অর্থমন্ত্রী।
কনটেইনার
আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনার আমদানিতে করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে এটি ৩১ ও ৩৭ শতাংশ ছিল।
স্যানিটারি ন্যাপকিন-ডায়াপার
স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর বহাল থাকবে। সাবান ও শ্যাম্পুর কাঁচামালেও ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল থাকছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবার
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফলে এর দাম কমতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কছাড়ের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দামও কমতে পারে। এছাড়া সফটওয়্যার, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, অভিজাত বিদেশি পোশাকের দামও কমতে পারে।
এ ছাড়া বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে আগামী ২৬ জুন। এর আগে ২৫ জুন ২৩-২৪ অর্থবছরের অর্থবিল পাস করা হবে। বাজেট কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।
আরও পড়ুন: