নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম গাজীপুর সিটির বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে এই ফল ঘোষণা করেন।
দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার। আইভীর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে সিটি করপোরেশনের মেয়র হচ্ছেন জায়েদা।
জায়েদা খাতুনের ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। তার পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩৫ লাখ টাকা।
ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার টাকা। কারখানায় বিনিয়োগ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণালংকার আছে ৩০ ভরি। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আসবাব এক লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই তার।
নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রাজু আহাম্মেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ ভোট ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন ভোটার। এরমধ্যে বাতিল ভোট ১ হাজার ৭৯৪। মোট বৈধ ভোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৬টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।