বিনোদন ডেস্ক : ২০২১ সালে মাঝামাঝি সময়, শোনা যায় ১৩ বছরের সংসার ভাঙার মুখে দাঁড়িয়ে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। জানা যায় যে, মেয়েকে নিয়ে একা থাকতে শুরু করেছেন অভিনেত্রী। তবে সবটাই ছিল শোনা খবর। এরপর কেটে গেছে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় এখনও বরখার নামের পাশে রয়েছে সেনগুপ্ত পদবী। তবে এবার বিচ্ছেদে সিলমোহর দিলেন অভিনেত্রী নিজেই।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে বিচ্ছেদের আইনি চিঠি পাঠালেন বরখা বিস্ত। তিনি জানান, খুব জলদিই তাঁরা অফিসিয়ালি আলাদা হয়ে যাবেন একে-অপরের থেকে। আর তারপরেই সেনগুপ্ত পদবী সরাবেন নামের পাশ থেকে। ২০২১ সাল অবধি সেই সময় ১১ বছরের মেয়ে মীরাকে নিয়ে সুখেই ছিলেন ইন্দ্রনীল ও বরখা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে থাকত তাঁদের প্রেমের ছবি। তবে আচমকাই ছন্দপতন। বরখা-ইন্দ্রনীলের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল হওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসাবে বারবার উঠে এসেছে টলি অভিনেত্রী ইশা সাহার নাম। তবে সেই প্রেমের কথা অস্বীকার করেছেন ইন্দ্রনীল ও ইশা উভয়েই।
অন্যদিকে বরখা সেনগুপ্ত সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘হ্যাঁ আমাদের ডিভোর্সটা জলদিই হচ্ছে। এটা আমার জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।’, শোনা যায়, ‘তরুলতার ভূত’ নামে একটি ছবিতে কাজ করার সময়ই ইশার প্রেমে পড়ে যান ইন্দ্রনীল। সেই কারণেই নাকি অশান্তি শুরু হয় বরখা ও ইন্দ্রনীলের জীবনে। এরপরেই মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন অভিনেত্রী।
যখন এই গুঞ্জন তুমুল ছড়িয়েছিল সেই সময় ইন্দ্রনীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খানিকটা মজা ছলেই হেসে বলেছিলেন, ‘মুম্বই থেকে কলকাতায় প্লেন চড়ে প্রেম করতে আসাটা প্রচুর এক্সপেনসিভ হয়ে যাবে’। অন্যদিকে ইশা সাহা জানান ‘এই খবরটা পেয়েছি কিন্তু আমি নিজেই কিছু জানি না।’ প্রসঙ্গত সেই বছর তথা ২০২১ সালের মার্চ মাসে পরিচালক দেব রায়ের প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল-ইশা জুটি। ছবির নাম ‘তরুলতার ভূত’। ছবি শেষ হওয়ার পর ইন্দ্রনীলের সঙ্গে ইশার আর যোগাযোগ হয় নি, এমনটাই দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ইশা আরও জানান, ‘আমার এই খবর সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই। চারিদিকে কঠিন সময়, তার মধ্যে এত নেগেটিভিটি ছড়ানো হচ্ছে, সেটাই খুব দুর্ভাগ্যজনক।’ মজার ছলে ইশা এও জানান, ‘আমি প্রেম করছি, আমার কাছেই খবর নেই।’
প্রসঙ্গত, এই সময়ে দাঁড়িয়ে বরখা ও ইন্দ্রনীলের কেরিয়ারে এসেছে নয়া মোড়। সম্প্রতি অ্যামাজন মিনি টিভিতে রিলিজ করেছে বরখার ওয়েব সিরিজ হান্টার। সুনীল শেট্টির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত হয়েছে সন্দীপ রায়ের নয়া ফেলুদা। যদিও ছবিটি ভালো চলেনি। একঅর্থে ফেলুদা হিসাবে দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে ইন্দ্রনীল। ইশা-ইন্দ্রনীলের তরুলতার ভূত ব্যবসা করতে পারেনি। ইশার সাম্প্রতিক দুটি ছবি ‘মিথ্যে প্রেমের গান’ ও ‘ঘরে ফেরার গান’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সূত্র-জিনিউজ।
আরও পড়ুন: