অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল (শনিবার)। সে হিসেবে ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে ছুটি শুরু হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
তবে এ ছুটি নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। স্ব স্ব কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এটি সরকারি ছুটি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে সমন্বয় করা যাবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
কারখানা মালিকদের প্রতি বিজিএমইএ’র চিঠিতে বলা হয়, ‘ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চ যাত্রায় অতিরিক্ত চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নিজ নিজ কারখানা নিজস্ব শিপমেন্ট, কার্যাদেশ ও প্রোডাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি সুযোগ থাকে ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দিতে পারবেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তবে, রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করিয়ে এসব ছুটি সমন্বয় করা যাবে।’
এছাড়া শ্রমিকদের জন্য ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ।
সেগুলো হলো—ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মাল বোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা। তাড়াহুড়ো না করা। রাস্তা যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না করা। অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকা।
চিঠিতে বলা হয়, ‘শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিতে পারবেন। কোনো পক্ষ যাতে শ্রমিক অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, সেই দৃষ্টি রাখতে হবে।’
চিঠিতে কারও প্ররোচনায় শ্রম অসন্তোষ সংঘটিত হতে পারে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএ’র সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।