মাহমুদুন্নবী জ্যোতি: মোহাম্মদ নূরুল আলম ১৯৬৪ সালে নিজ গ্রাম আগ্রাবাদ বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। এরপর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি জিআরকে হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
পেশাগত শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে নূরুল আলম ২০০০ সালে আইসিএসএমবি-তে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির মেম্বার এবং ২০০৯ সালে ফেলোশীপ অর্জন করেন। আইসিএসএমবি ২০১০ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘আইসিএসবি’ হয়।
২০১৭ সালে সোসাইট অব কর্পোরেট কমপ্লায়েন্স এন্ড ইথিক্স, ইউনাইটেড স্টেট থেকে আন্তর্জাতিক সার্টিফাইড কমপ্লায়েন্স এন্ড ইথিক্স প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জন করেন। বহুগুণে গুণান্বিত মোহাম্মদ নূরুল আলম কর্পোরেট সংবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আলাপচারিতায় ওঠে আসে তাঁর বর্ণিল কর্মজীবনের নানাবিধ দিক। সাক্ষাতকার নিয়েছেন মাহমুদুন্নবী জ্যোতি।
কর্পোরেট সংবাদ: কর্মজীবন শুরুর বিষয়টি জানতে চাই। বর্তমানে পদে যোগ দেওয়ার পূর্ববর্তী ঘটনাপুঞ্জ যদি বলেন।
মোহাম্মদ নূরুল আলম: আমি ১৯৮১ সালে বি.কম পাস করে গ্ল্যাক্সোতে ইন্টারনাল অডিটর হিসেবে যোগদান করি। গ্ল্যাক্সো বাংলাদেশ লিমিটেড (পরবর্তীতে গ্ল্যাক্সো ওয়েলকাম) এর ২০ বছর ইন্টারনাল অডিট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন পদে কাজ করি। পরবর্তীতে একই প্রতিষ্ঠান, যার নাম পরিবর্তন হয়ে “জিএসকে বাংলাদেশ” হয়েছে, এর কোম্পানি সচিবালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, কাজের প্রয়োজনে চার্টার্ড সেক্রেটারি অর্জনের জন্য আইসিএসএমবি-তে স্টুডেন্টশীপ নেওয়া হয়েছিল।
২০০০ সাল থেকে ৬ বছরের অধিক সময় পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি জিএসকে এর কোম্পানি সচিবালয় দক্ষতার সাথে পরিচালনা করি। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ওরাসকম বাংলাদেশে লিমিটেড এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কম্যুনিকেশন লিমিটেড এর কোম্পানি সচিব হিসেবে যোগদান করি।
২০১০ সালে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলালিংক এর প্রধান ইন্টারনাল অডিটর এর অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২০১৫ সালে একই প্রতিষ্ঠানে চীফ কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসেবে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডে যোগ দেই এবং এখন পর্যন্ত আন্তরিকতা, দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি বাংলালিংকের গ্রুপ ভেওনের এমপ্লয়ী হিসেবে বাংলাদেশে কর্মরত আছি।
কর্পোরেট সংবাদ: চীফ কমপ্লায়েন্স অফিসার পদটি কোম্পানির স্বার্থ কীভাবে সংরক্ষণ করে? এবং এটি কোম্পানির জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
নূরুল আলম: পদটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট রির্পোটিং টু গ্রুপ চীফ কমপ্লায়েন্স অফিসার। এই পদের মূল দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানে ইথিক্যাল কালচার প্রতিষ্ঠা করা, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ইথিক্যাল কালচার চর্চার প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা, কোম্পানি পরিচালনায় ইথিক্যাল সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যবস্থাপনাকে উপদেশ প্রদান করা, যাতে কোম্পানি অনৈতিক বা আইন বহির্ভূত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সুনাম ক্ষুন্ন বা জরিমানার সম্মুখিন না হয়।
এছাড়া চীফ কমপ্লায়েন্স অফিসার প্রতিষ্ঠানে ইথিকস এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম চালু করেন। কার্যকর কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম নির্ভর করে প্রয়োজনীয় পলিসি, প্রসিডিউর, প্রসেস, গাইডেন্স এবং উপযুক্ত কোড অব কন্ডাক্ট প্রতিষ্ঠা এবং চর্চার মাধ্যমে। কার্যকর কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম, যা না হলে সিদ্ধান্ত গ্রহনে কোন আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় আইন লঙ্ঘন হতে পারে কিংবা আনইথিক্যাল সিদ্ধান্ত হতে পারে, যাতে কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এছাড়া, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক পেনাল্টি ইম্পোজ হতে পারে। এমন কি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ: আইসিএসবি’র একজন ফেলো হিসেবে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা বর্তমান পদে থেকে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কীভাবে কাজ করছেন? বা কোম্পানি কীভাবে আপনাকে মূল্যায়ন করছে?
নূরুল আলম: এটি একটি সম্মানজনক পেশাগত টাইটেল। একজন দক্ষ পেশাজীবী হিসাবে যেমন প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তেমনি প্রতিষ্ঠানও তার সম্মানজনক প্রতিদান দিয়ে থাকেন।
কর্পোরেট সংবাদ: ২০১৩-২০১৬ মেয়াদে আইসিএসবি’র কাউন্সিল সদস্য ছিলেন। কাউন্সিলে থাকা অবস্থায় আপনার ভূমিকা কী ছিল? কাউন্সিল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ কোন সুবিধা বা অসুবিধা আছে কী? থাকলে কী রকম?
নূরুল আলম: ১৯৯৭ সালে যে সকল গুণি ব্যক্তিরা আইসিএসএমবি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁদের প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। আইসিএসবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট মোজাফফর আহমেদ, জনাব এ কে এম মুক্তাদির, জনাব মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, জনাব আসাদুল্লাহ এবং জনাব ইতরাত হুসাইন সকলের অসামান্য অবদানে আজকের আইসিএসবি। সকল সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
কর্পোরেট সংবাদ: বর্তমান এবং ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যদি বলেন, মূলত কাদের সম্পৃক্ততায় এবং কার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে আইসিএসএমবি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল?
নূরুল আলম: আইসিএসবি’র সকল সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রেসিডেন্ট ছিলেন জনাব মোজাফ্ফর আহমেদ।
কর্পোরেট সংবাদ: আপনি কাউন্সিলে থাকা অবস্থায় আইসিএসবিতে কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ড চালু হয়। এতো বড় একটি উদ্যোগে আপনার বিশেষ কোন ভূমিকা ছিল কী? এছাড়া এই অ্যাওয়ার্ড চালু করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা কার ছিল বলে আপনি মনে করেন?
নূরুল আলম: আইসিএসবি কাউন্সিল ২০১৩-২০১৬ মেয়াদে কয়েকটি মাইলস্টোন প্রতিষ্ঠা করে সিএস প্রফেশনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। মাইলস্টোনগুলো হলো:
ক) কর্পোরেট গর্ভনেন্স এক্সিলেন্স ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড চালু করা। এ লক্ষ্যে ২০১৪ সালে প্রথম কর্পোরেট গর্ভনেন্স এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রোগ্রামটি এখনো চলছে। এই প্রোগ্রাম সিএস প্রফেশনকে কর্পোরেট সেক্টরে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করে।
খ) এই কাউন্সিলের মেয়াদে সরকারি অনুদান পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকা থেকে এক কোটি পচানব্বই লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
গ) ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
ঘ) উক্ত কাউন্সিলের মেয়াদে আইসিএসবি’র স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য দশ কাঠা জায়গা ক্রয় করা হয়।
ঘ) আইসিএসবির অফিস বাংলা মটরে স্থানান্তরিত করা।
উল্লেখিত কাউন্সিলরদের সাফল্যের কথা বর্ণনা করার সাথে অন্য সব কাউন্সিলের অবদানের কথাও স্বীকার করতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সব কাউন্সিলের অবদান থাকে।
কর্পোরেট সংবাদ: সর্বশেষ কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ডে আপনার কোন ভূমিকা দৃশ্যমান হয়নি। কারণটা বলবেন কী?
নূরুল আলম: কর্পোরেট গর্ভনেন্স এক্সিলেন্স অ্যাওয়াড কমিটি সব সময় ছিল, কিন্তু কেউ এতবড় অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ কোনদিন নেয়নি। আমি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ডের মত একটি বড় মাপের অনুষ্ঠন শুরু করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সফলভাবে একবার শুরু হয়ে গেলে এটি অব্যাহত রাখা তুলনামূলক সহজ হয়। প্রত্যেকটি কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ডে সকল সদস্যের সহযোগিতা আছে এবং তা অত্যন্ত জরুরি।
কর্পোরেট সংবাদ: বিএসইসি কর্তৃক জারিকৃত কর্পোরেট গর্ভনেন্স কোড-২০১৮ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন।
নূরুল আলম: বিএসইসি কর্পোরেট গর্ভনেন্স কোড সম্পর্কে আমার প্রতিক্রয়া বলতে একটি বিষয় পূণ:বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকবে। তাহলো, ‘কমপ্লায়েন্স সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স’, যা ব্যবস্থাপনার সাথে থেকে প্রিভোন্টিভ ও ডিটেকটিভ এস্যুরেন্স নিশ্চিত করে। কিন্তু ইন্টারনাল অডিট থার্ড লাইন অব ডিফেন্স যা ব্যবস্থাপনা থেকে ইন্ডিপেডেন্ট, তাই দুইটি কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তার জন্য একজন থাকা অযৌক্তিক। বরং একই ধরনের কাজে কোম্পানি সচিব এবং কমপ্লায়েন্স অফিসার একজন হতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ: কমপ্লাইন্স অডিটের ক্ষেত্রে সিএ, সিএমএ ও সিএস প্রফেশনের জন্য সমান সুযোগ রাখা হয়েছে। ফাইন্যানন্সিয়াল অডিটের মতো কোন প্যানেল করার ব্যবস্থা রাখা হয়নি-এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
নূরুল আলম: আমাদের দেশে কমপ্লাইন্স অডিট বিশেষ করে সেক্রেটারিয়েল সাবমিশন যা রেগুলেটরি রিকয়ারমেন্ট আরজেএসবিতে কোম্পানি আইনের বিধান মতে সকল রিটার্ণ ফাইল করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। কিন্তু উন্নত বিশ্বে কমপ্লায়েন্স অডিট এর আওতা আরো ব্যাপক। যেমন, ফরেন করাপট প্র্যাকটিস এ্যাক্ট (এফসিপিএ) এর বিধান এর লঙ্ঘন রোধ। এটি প্রতিরোধ করার ব্যবস্থাপনা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ যাচাই করাও এর অন্তর্ভূক্ত।
কর্পোরেট সংবাদ: আপনার সময়ে (২০১৩-২০১৬ মেয়াদে) কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ড আলাদাভাবে একদিনে করেছেন। এবারের কর্পোরেট গর্ভনেন্স অ্যাওয়ার্ডের সাথে আরো দু’টি বড় প্রোগ্রাম একদিনে করা হয়েছে। ফলে অনুষ্ঠানের মান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
নূরুল আলম: কয়েকটি উপলক্ষ একত্রে একটি বড় অনুষ্ঠান করা যায়। কিন্তু প্রতিটি উপলক্ষ আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করে সদস্যদের আরো সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায়। কিন্তু কাউন্সিলে বেশি কাজ করতে হয়।
কর্পোরেট সংবাদ: অনেকেই মনে করেন চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অ্যাক্ট-২০১০ এই প্রফেশনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। কীভাবে সম্ভব হলো?
নূরুল আলম: চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অ্যাক্ট-২০১০ কে এক বাক্যে শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে স্বীকার করতে হবে। এ অর্জনে যাদের ভূমিকা ও শ্রম ছিল, তাদের সবাইকে সম্মান করি।
কর্পোরেট সংবাদ: যে কোন অর্জনের পেছনে সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকে, সেই সাথে থাকে নেতৃত্ব। মূলত কোন কাউন্সিল এবং কার নেতৃত্বে এই চার্টার্ড সেক্রেটারি অ্যাক্ট-২০১০ অর্জিত হয়েছিল?
নূরুল আলম: চার্টার্ড সেক্রেটারি অ্যাক্ট-২০১০ অর্জনে অনেকের ভূমিকা আছে । এটি সমন্বিত প্রচেষ্টার অর্জন।
কর্পোরেট সংবাদ: সিএস প্রফেশনের অনেক সদস্য মনে করেন, ইনস্টিটিউটে যারা ক্লাশ নেন, তাদের কাউন্সিল সদস্য হওয়া উচিত না। আবার যারা কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হন, তাহর ক্লাশ নেওয়া ঠিক না-বিষয়টিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন।
নূরুল আলম: আমি তা মনে করি না বরং যারা ক্লাশ নেন তাদের আরো উৎসাহ দেওয়া উচিৎ।
কর্পোরেট সংবাদ: বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি আইসিএসবি ও সিএস প্রফেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনার উপদেশ।
নূরুল আলম: সিএস পেশাজীবী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এ পেশা ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি করে এবং প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসাকে সুরক্ষিত করে। বাংলাদেশে অনেক সিএস পেশাজীবী প্রয়োজন। এ পেশার জন্য ইংরেজিতে ভাল বলতে এবং লিখতে দক্ষতার প্রয়োজন। তাই নতুনদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। নতুন পাশ করা পেশাজীবীদের ইথিক্স এন্ড কমপ্লায়েন্সের ওপর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন যাতে করে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের ইথিক্স এন্ড কমপ্লায়েন্সের দায়িত্ব নিতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ: কর্পোরেট সংবাদের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
নূরুল আলম: আপনাকেও ধন্যবাদ। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই কর্পোরেট সংবাদের অগণিত পাঠকদের।
আরো পড়ুন: সিএস প্রফেশনে আইসিএসবি বাংলাদেশের একমাত্র রিকোগনাইজড প্রতিষ্ঠান: এনামুল হক