ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮ কোম্পানিকে ১১ ক্যাটাগরিতে “৫ম আইসিএসবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর কর্পোরেট গর্ভনেন্স এক্সিলেন্স, ২০১৭” প্রদান করেছে।
এবারে পুরস্কারপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো হচ্ছে; ব্যাংকিং খাতে ১ম ইষ্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, ২য় সাউথইষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং ৩য় প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড; নন-ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ব্যাংকিং খাতে ১ম আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড, ২য় ডেল্টা ব্রাক হাউজিং এবং ৩য় ডেল্টা ব্রাক হাউজিং; বিমা খাতে ১ম গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ২য় প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৩য় ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড; ঔষুধ ও রসায়ন খাতে ১ম দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এবং ২য় দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড; বস্ত্র খাতে ১ম মতিন স্পিনিং মিলস, ২য় প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং ৩য় রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড; খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ম গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো লিমিটেড, ২য় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ৩য় জেমিনি ফুড লিমিটেড; তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১ম বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এবং ২য় গ্রামীণ ফোন লিমিটেড; প্রকৌশল খাতে ১ম সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড, ২য় বিবিএস ক্যাবলস এবং ৩য় বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড; ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১ম ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ২য় আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ এবং ৩য় প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে একমাত্র ১ম পুরস্কার পেয়েছে সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং সেবা খাতে ১ম ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড এবং ২য় পুরস্কার পেয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিমা খাতে ১ম গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ৪র্থবারের মতো, আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড নন-ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ব্যাংকিং খাতে টানা তৃতীয়বারের মতো ১ম পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো ১ম পুরস্কার জিতেছে বস্ত্র খাতের মতিন স্পিনিং মিলস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল কোম্পনিকে কর্পোরেট সংবাদের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সেই সাথে অভিনন্দন আইসিএসবিকে, যারা কর্পোরেট সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ ধরনের পুরস্কার প্রদান করছে।
যেকোন পুরস্কার অর্জন সব সময়ই দক্ষতার স্বীকৃতির হিসেবে বিবেচ্য হয়ে থাকে। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়বস্তু মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তা অত্যন্ত দুরহ। যেমন: কর্পোরেট গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠা, কার্যকরি সতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, সিএসআর দায়িত্ব পালন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ সকল বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করা ইত্যাদি। তবে এই মানদন্ডের বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে কোম্পানিগুলো কাজের প্রতি আরো উৎসাহী হয়ে উঠবে, আরো গতিশীল হয়ে উঠবে কোম্পানির সকল কর্মকান্ড।
এছাড়া যে সকল কোম্পানি মনোনয়ন জমা দিয়ে পুরস্কার পায়নি, তারা তাদের কাজের প্রতি আরো যতœশীল হয়ে উঠবে, নিজেদের কাজের জন্য অর্জন করবে এমন পুরস্কার-সেটাই প্রত্যাশিত।
এর মাধ্যমে কোম্পানি’র শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগের আগ্রহ এবং চর্চা বৃদ্ধি পাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোম্পানি পরিচালনায়। আর এর ফলে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি এবং কাজের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের বাস্তব প্রয়োগ বাড়বে ও আশাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে কর্পোরেট সুশাসন।
আরো পড়ুন: শুরু হলো আয়কর রিটার্ন দাখিলের মাস