নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আসন্ন পবিত্র রমজানে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। এখন এসবের যে দাম, বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও সংহত ও মনিটরিং করা হলে দাম অনেকটাই কমে আসবে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র চালু করব। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি যারা খামারি আছেন, তাদেরও সহায়তা নেব। দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং সহনশীলতার ভেতরে যেন রাখা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় আমরা আছি।
তিনি বলেন, এ খাতকে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করছি। এরই মধ্যে মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। এক সময় মাংস, ডিম ও দুধ রপ্তানি করতে পারবো।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের প্রসারের কারণে করোনার সময় আমাদের প্রাণিজ খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি। প্রোটিনের ঘাটতি হয়নি। মানুষ সুস্থ ছিল। সবকিছু বন্ধ থাকলেও ডিম, দুধ, মাংস মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সে সময় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিম, দুধ, মাংস বিক্রি করেছে। সেটা ছিল অভাবনীয় সাফল্য।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পোলট্রি অ্যানিমেল ফিডের উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে অনেক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনের ব্যয়ও বেড়েছে। এসবের কারণে খাদ্যের দাম বেড়েছে।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এ খাতের ব্যাপক সাফল্যের জন্য বেসরকারি খাতকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা এ খাতে বিপ্লব এনেছে। অভাবনীয় সাফল্য এনেছে গত কয়েক বছর। আগে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু না এলে কোরবানি হতো না। এখন আমরা আর বিদেশনির্ভর নয়। এখন কোরবানির পর পশু অবিক্রীত থাকে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে যাতে বিকল্প খাদ্য তৈরি করা যায়, সে জন্য সাভারে নতুন একটা কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশমুখী না হতেই বাংলাদেশেই মিশ্র খাদ্য তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।