October 7, 2024 - 9:30 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়নিউ ইয়র্কে বিসিআইইউ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক বৈঠক

নিউ ইয়র্কে বিসিআইইউ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক বৈঠক

spot_img

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্টান্ডিং (বিসিআইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সম্মানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষক এক বৈঠকে মিইত হন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) নিউইয়র্কস্থ হারভার্ড ক্লাবে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বিসিআইইউ’র প্রেসিডেন্ট পিটার টিচানস্কিসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও নিউ ইয়র্কের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের/সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে, দারিদ্র বিমোচন, তথ্য-প্রযু্ক্তি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানীকে আরো বহুমূখী ও প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরে তিনি তৈরি পোষাকের পাশপাশি ঔষধ, পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং সিরামিক সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। উক্ত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ), তৌফিক ইসলাম শাতিলসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মেট্রোরেল উদ্বোধনসহ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক অনুপম উদাহরণ বলে ড. মোমেন মন্তব্য করেন। আঞ্চলিক কানেকটিভিটি হাবে পরিণত হওয়া, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রমবৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিকভাবে কৌশলগত অবস্থান, জনমিতিগত সুবিধা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও ট্যাক্স বর্হিভূত সুবিধাসমূহ বিবৃত করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব গন্তব্য বলে আখ্যায়িত করেন। সরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ ও হাই-টেক পার্ক নির্মাণ ও এর প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাসমূহের বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে আরও গুরুত্বসহকারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানান। এক্ষেত্রে তিনি অন্যান্যের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রিক ভেহিকল, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্বাস্থ্য খাত সমূহের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন।
উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের জনগণের অদম্য স্পৃহা, ইতিবাচক মনোভাব এবং ব্যবসায়িক উদোগ ও সৃজনশীলতায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করতে তাঁরা সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। আগামী ১১-১২ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ব্যবসা সম্মেলনের আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ