আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিএনপি বলছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটিকে ইচ্ছে করেই নির্বাচনের বছরে এসে বেগবান করা হয়েছে। অন্য দিকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি বরং উল্টো মামলাটিকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে গত কদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের কাছ থেকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি দল বনাম বিএনপির মধ্যে চলছে হুমকি পাল্টা হুমকি।
রায় বিপক্ষে গেলে খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচন করতে পারবেন কি না সেনিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। রায়ের দিন ধার্য করার মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, মামলাটির কার্যক্রম ইচ্ছে করেই নির্বাচনের বছরে এসে বেগবান করা হয়েছে, যাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটা নাটক বা প্রহসন করতে পারে।
অন্য দিকে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি বরং উল্টো মামলাটিকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।
এ বছর রাজনীতিতে সকল ইস্যুই হবে নির্বাচন সম্পর্কিত, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। গত সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার ভুল বুঝতে পেরে এবার নির্বাচনে যাওয়ার সকল চেষ্টাই করবে বিএনপি। কিন্তু একই সাথে আওয়ামী লীগের উপরেও চাপ রয়েছে সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করার। যাতে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী একই ধরনের সমালোচনার মুখে তাদের যেন পড়তে না হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনীতির অঙ্গনে। এই উত্তাপ যাতে দেশের সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত না হয়, আগামী সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ ব্যাহত না হয়, সেটাই সবার প্রত্যাশা।