গাজীপুর প্রতিনিধি : দারাজ অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে ডেলিভারি ম্যানের প্রতারণায় পড়েছে কয়েক কিশোরী। অভিনব কায়দায় ওই কিশোরীদের মোবাইল ফোন থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে মো: মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিন (২২) নামের এক ডেলিভারিম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার চরগাঁওকোড়া গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ কমিশনারের সভা কক্ষে আয়োজিত এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ এসব তথ্য জানান।
হাশেম (ছদ্মানাম) নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে অনন্যা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৫) এর আপত্তিকর কিছু ছবি একজন দারাজের ডেলিভারীম্যান তাকেসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে টাকা দাবী করছে। টাকা না দিলে অনন্যা আক্তার এর ছবি ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করে। এতে তার মেয়ে লোক লজ্জার ভয়ে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারটি গত এক সপ্তাহ যাবৎ দূর্বিষহ সময় পার করছিল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডেলিভারিম্যান মো: মিজানুর রহমান ওরফে আল-আমিন (২২)কে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর ব্যবহৃত মোবাইলটি যাচাই-বাছাই এবং জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, দারাজ অনলাইন শপে নারী ও উঠতি বয়সী মেয়েদের টার্গেট করে মুলত অনলাইনে পন্য অর্ডার দেওয়ার পরে ডেলিভারীর সময় উক্ত ডেলিভারি ম্যান ক্রেতার মোবাইল ফোন নিয়ে কৌশলে তারপর ফোন থেকে সমস্ত ছবি এবং তথ্য নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ডেলিভারি ম্যান তার সুবিধামত সময়ে মোবাইলের গুগল ফটোতে ঢুকে শেয়ারকৃত নারী ক্রেতার গুগলে থাকা সকল ছবি তার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিয়ে নিত। এভাবেই ধৃত ডেলিভারী ম্যান ভিকটিম অনন্যা আক্তারসহ অনেক নারীর আপত্তিকর ও গোপন মুহুর্তের ছবি নিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা সহ টাকা চাইত এবং টাকা না দিলেই নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিত। গ্রেফতারকৃত আসামীর মোবাইলে এমন বহু নারীর ব্যক্তিগত মুহুর্ত ও আপত্তিকর ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ১১টি ইমেইল আইডি লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়।