আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডে আল্পস পর্বতমালায় বেশ কয়েকটি তুষারধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, চীন ও জার্মানি থেকে যাওয়া পর্যটকরা রয়েছেন। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্কি রিসোর্টে তুষারধসে প্রাণ হারিয়েছেন তারা। খবর বিবিসির।
ওই এলাকায় তীব্র তুষারপাত ও বাতাসের জেরে চার মাত্রার তুষারধস সতর্কতা জারি করেছিল অস্ট্রিয়ান কর্তৃপক্ষ। তুষারধসের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।
তবে উচ্চ ঝুঁকির সতর্কতা সত্ত্বেও ভিয়েনায় স্কুল ছুটির কারণে পশ্চিম অস্ট্রিয়ার স্কি রিসোর্টগুলো পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
অস্ট্রিয়ান পুলিশ গত রোববার পাঁচজনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে। নিহতদের মধ্যে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া সাংকট আন্টন অ্যাম আরলবার্গের একজন স্কি গাইড এবং হোহে আইফনারের চূড়ার পাশে ক্রস-কান্ট্রি স্কিইং করা ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে, গত শনিবার নিউজিল্যান্ডের ১৭ বছর বয়সী একজন, ৩২ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জার্মান পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তুষারধসের সময় তারা সবাই স্কিইং করছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, সুইজারল্যান্ডে গত শনিবার সকালে গ্রাবুয়েনডেনের দক্ষিণ-পূর্ব ক্যান্টনে তুষারধসে ৫৬ বছর বয়সী এক নারী এবং ৫২ বছর বয়সী এক পুরুষ নিহত হয়েছেন। সুইস পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গ্রুপের তৃতীয় সদস্য অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড উভয় দেশেই তুষারধস সাধারণ ঘটনা। অস্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, শুধু শনিবার টাইরল অঞ্চলেই ৩০টি তুষারধসের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১টিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল।
অস্ট্রিয়ার চার মাত্রার সতর্কতার অর্থ ‘খুব বড় ধরনের তুষারধসের আশঙ্কা’ রয়েছে। এটি অনভিজ্ঞ স্কিয়ারদের ওপেন স্কি রান ও ট্রেইলে থাকতে এবং অভিজ্ঞ স্কিয়ারদের খাড়া জায়গা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়।