স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ক্রিকেটে তাঁকে ‘প্রফেসর’ বলা ডাকা হত। তিনি এক ও অদ্বিতীয় মোহাম্মদ হাফিজ। ৫৫ টেস্টে ১০টি শতরান করেছেন। ২১৮টি ওয়ান ডে খেলে করেছেন ৬৬১৪ রান। এমনকি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও তিনি সফল। ১১৯টি ম্যাচে করেছেন ২৫১৪ রান। শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও সফল হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। আর ব্যাট-বল তুলে রেখেই লেখাপড়ায় জোর দিলেন তিনি।
ফের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। হেলথ ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং স্পোর্টস সায়ান্স নিয়ে পড়বেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এরপর থেকে আর পড়াশোনা করতে পারেননি। তবে, লেখাপড়ায় যথেষ্ট ভালো ছিলেন। কিন্তু জাতীয় টিমে পাকাপাকি পা রাখার পর থেকে বই-খাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। এহেন হাফিজ ৪২ বছরে ফের বই-খাতা নিয়ে বসতে চলেছেন।
এই বিষয়ে হাফিজ বলেন, “আসলে লেখাপড়া আমার কাছে বরাবরই ভালোবাসার জায়গা। ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই হেলথ ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং স্পোর্টস সায়ান্স নিয়ে পড়াশুনো করার ইচ্ছা ছিল। সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে।” কিন্তু নিজের থেকে কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে লেখাপড়া করতে অসুবিধা হবে না? কিংবা সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে না? হাফিজ ফের যোগ করেন,”কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ এই সাবজেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করা খুব কঠিন ব্যাপার। তাই কেউ সই নেওয়ার জন্য কিংবা সেলফি তোলার জন্য বিরক্ত করবে না।”
করাচি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডঃ খালিদ মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় ইউনিভার্সিটিতে আবার পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে বলে হাফিজ অত্যন্ত খুশি। ইউনিভার্সিটির প্রফেসররা ওকে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। যাতে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:
বিপিএলের মাঝে ওমরাহ করতে গেলেন সাকিব