বিসিবি সভাপতি হতে পারবেন না সাকিব-মাশরাফী

Posted on January 11, 2024

স্পোর্টস ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী থাকছেন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পেয়েছেন বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সংশ্লিষ্টদের মতে নাজমুল হাসান পাপন পূর্ণ মন্ত্রী হলে তার পক্ষে আর বিসিবির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বিসিবি দায়িত্বে নতুন কে আসবে, সেটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন বিসিবির নতুন সভাপতি। তবে অনেকেই বলছেন বিসিবির নতুন সভাপতি হতে পারেন মারশাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের মধ্যে কেউ একজন।

কিন্তু সেটা এখনই সম্ভব না। কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়, এরপর হতে হয় বিসিবি পরিচালক। সাকিব নিজেই এখনও ক্রিকেটার আর মাশরাফি খেলা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও কোন আঞ্চলিক সংস্থায় যুক্ত হননি। বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা।

অন্যদিকে পূর্ণ মন্ত্রী হলেও, বিসিবি সভাপতি দায়িত্ব পালনে কোনো বাঁধা নেই পাপনের। কারণ, মন্ত্রিত্ব ও বিসিবির পদটি সাংঘর্ষিক নয়। তাই পাপন চাইলেই দুটি পদেই কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়াও ২০২৫ সালে শেষ হবে বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এবার মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর পদ পেতে যাচ্ছেন পাপন।