দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানা দাখিলের নির্দেশ

Posted on June 18, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম ও ঠিকানা আদালতে দাখিল করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) এক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

মাদক কারবারের জেরে দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে ১৩ জুন একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রোববার আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাচারের মাধ্যমে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে গোপনে জমা রাখা বিপুল অর্থ উদ্ধারে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সুবীর নন্দী দাসসহ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এদিকে মাদক ব্যবসা নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।

দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। দুদক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে “মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থপাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে। অবশ্য পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক, এটি করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাড।